||ড. মো. ইব্রাহীম খলিল||
নিজে আলিয়া থেকে কামিল সম্পন্ন করলেও মূলধারা দীনি ইলমের একনিষ্ঠ অনুশীলনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কওমি মাদরাসার প্রতি আমার এক ধরনের বিমুগ্ধ পক্ষপাত রয়েছে। বিভিন্ন লেখায় সেটা আমি প্রকাশ করেছি। কওমি মাদরাসা সংস্কারের কথা বলেছি। বিশেষত কওমি মাদরাসার অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর যথাযথ সেবা থেকে দেশ ও জাতির বঞ্চিত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছি।
কওমির ঐতিহ্য রক্ষা করে কওমিতে চিকিৎসা, প্রকৌশলী ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসমূহ চালু করার কথা বলেছি। এ সূত্রে কওমি শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন এমন অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি বিনয়ের সাথে জানিয়েছি, আমার ক্ষমতা উপলব্ধি করা এবং সেটা ভাষায় প্রকাশ করা পর্যন্ত। এর বাইরে কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই।
আমি যাদের সাথে কথা বলেছি, তাদের প্রত্যেককে কওমি ঘরানায় পরিবর্তন আনার ব্যাপারে আন্তরিক দেখেছি। দীনি ইলম ও আখলাকের শক্তভিত্তি দিয়ে কওমির বিভিন্ন অনুষদ যখন নেককার চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ ও বিপণন বিজ্ঞানী তৈরি করবে, তখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রশাসনিক দুর্নীতি হয়তো সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। কিন্তু উদ্যোগটি এখনও দৃশ্যমান হতে দেখিনি।
আমি জানি না, ঠিক কোন জায়গায় বিষয়টি আটকে আছে বা কী কারণে আটকে আছে? সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে কওমি সন্তানদের অবিস্মরণীয় অবদান দেখে আমি আশায় বুকে বেঁধেছিলাম, কওমি অঙ্গনে যুগান্তকরী কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এবার নিশ্চয়ই আসবে। আমি এখনও আশাবাদী, কিন্তু কেন যেন আর আগের মতো তেমন দৃঢ়তার সাথে বলতে পারছি না।
কেউ কি বলবেন, আসলে কী হয়েছে বা আসলেই কিছু হচ্ছে কি না?
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
এলএইস/