বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদির সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা মওদুদি ইসলামের অনুসারী নই, আমরা মদিনার ইসলামের অনুসারী। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবারা যে ইসলাম চর্চা করেছেন, আমরা সেই ইসলামের অনুসারী। রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করা কখনো কাম্য নয়।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ‘আজমতে সাহাবা’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাসেমী পরিষদ নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের দিকে ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজ দেশে একটি গোষ্ঠী রাজনীতির জন্য ইসলামকে ব্যবহার করছে, মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ইসলামকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে কেউ যেন সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইসলামবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষী ও মুসলিমবিদ্বেষী। বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই তাদের সেই নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত সৎ রাজনীতি করা, যে রাজনীতি মানুষের পাশে দাঁড়ায়, ইসলামের পক্ষে কথা বলে।
সালাহউদ্দিন বলেন, এখানে আমি এসেছি বিশিষ্ট আলেমদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না, তারা এখানে আছেন। যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই। তবে কেউ যেন আমাদের দীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।
মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের আলেম মাওলানা সাঈদ আল হোসাইন, জমিয়তের মহাসচিব মুফতি মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মশিউর রহমান রনি, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা মীর আহমাদুল্লাহ ফুয়াদ, মুফতি হারুন, মুফতি আহসানুল্লাহ আব্বাসী, সমাজসেবক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমুখ।
এলএইস/