বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

আন্দোলনের মুখে জর্ডানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের পরামর্শে জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুন সোমবার পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হানি মুকলি।

রোববার রাতে রাজপথে নেমে আসে দেশটির কয়েকহাজার মানুষ। এ বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে জর্ডান সরকারকে। সবশেষ জনগণের দাবির মুখে সোমবার পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

জনগণের ওপর অতিরিক্ত করারোপের প্রস্তাব দিয়ে গত মাসে সংসদে যে বিল পাঠানো হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই করবিল জর্ডানের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে তুলবে।

সরকারি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা এখানে ওই বিল বাতিলের জন্য এসেছি’, ‘সরকার নির্লজ্জ’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকে।
রাজধানী আম্মানের বাইরে সারা দেশেই গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সরকার পতনের দাবিতে তারা আন্দোলন করে যাচ্ছে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘নারীরা শিশুদের জন্য ডাস্টবিনে খাবার খুঁজতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও নতুন নতুন করারোপে জর্জরিত হচ্ছি।’

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের আয়ের সঙ্গে এ ধরনের কর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০১১ সালেও একই ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে শাসকদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল আরব বিশ্বের জনগণ। শেষ পর্যন্ত যা জন্ম দিয়েছিল আরব বসন্ত।

তিউনিশিয়ায় শুরু হয়ে আরব বসন্তের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল মিশর, লিবিয়া, সিরিয়াসহ আরব দেশগুলোতে। কর্মসংস্থানের অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রশাসনে দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছিল আরবরা, যার আঁচ এখনও কাটেনি।

বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, বর্তমানে আরব দেশগুলোতে ফের একটি আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেতন কমছে।

বিবিসি

ফিলিস্তিনিদের ঘুড়ি আতংকে ইসরাইল!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ