বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
 ‘আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’, জোহরান মামদানির জয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রতিক্রিয়া চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট

বিশ্বের অর্ধেক শিশু যুদ্ধ-দারিদ্র্য-বৈষম্যের ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  দারিদ্র্য, সংঘাত ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু।

বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত,  বিশ্বের কমপক্ষে ১২০ কোটি শিশুকে দারিদ্র্য ও লিঙ্গবৈষম্য এই তিন প্রতিবন্ধকতার যে কোনো একটি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

আর একসঙ্গে তিনটি প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে ১৫ কোটি ৩০ লাখ শিশু। ১ জুন (আজ) আন্তর্জাতিক শিশু দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত ‘দ্য মেনি ফেইসেস এক্সক্লুসন’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

এ সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যালে থ্রোনিং শ্মিট বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আমরা ৩ বছর আগে দেয়া আমাদের প্রতিশ্র“তি রক্ষা করতে পারব না।

শিশুদের সুরক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।’ প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে তারা বিশ্বের প্রতিটি শিশুর জীবন, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দারিদ্র্যকবলিত দেশগুলোতে ঝুঁকির মুখে বাস করছে প্রায় ১০০ কোটি শিশু। ২৪ কোটি শিশুর জীবনকে প্রভাবিত করছে যুদ্ধজনিত সংঘাত।

আর নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য স্বাভাবিক বিষয় এমন দেশে ঝুঁকির মুখে রয়েছে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ কন্যাশিশু। এসব শিশুর শৈশব ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা লুট হয়ে গেছে।

গত বছর প্রকাশিত সেভ দ্য চিলড্রেনের এক জরিপ গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১২ মাসে ৭৫টি দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। তবে শিশুদের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ৯৫টি দেশে।

শিশুরা কতটুকু মৃত্যু ঝুঁকির মুখে আছে, অপুষ্টি, শিক্ষার অভাব, বাল্যবিয়ে এবং শিশু শ্রমের ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোর র‌্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূচক অনুসারে শিশুদের অবস্থার সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে সিঙ্গাপুর ও স্লোভেনিয়াতে। এই দুটি দেশে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে যৌথভাবে অবস্থান করছে। পরে রয়েছে নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

সূচকের একেবারে নিচের সারিতে হয়েছে নাইজার, মালি ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। তালিকার একেবারে নিচের দশটি দেশের মধ্যে আটটিই পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার।

প্রতিবেদনে সরকারগুলোকে স্থানচ্যুতি, শিশু বিবাহ ও জোরপূর্বক শ্রমসহ ১০টি ইস্যুতে ‘জরুরি ব্যবস্থা’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশুকে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংগঠন ইউনিসেফ বলছে, সম্প্রতি ২ কোটি ৮০ লাখ শিশুকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটিই শরণার্থী।

আর ‘গার্লস নট ব্রাইড’ নামের এক সংস্থা জানাচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান ও সাব-শাহারা আফ্রিকা অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৫ কোটি নারীশিশুর বিয়ে হয়ে যাবে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই। আর এক্ষেত্রে অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনাও তেমন নেই বললেই চলে।

আরো পড়ুন- কাজা রোজা রাখার পদ্ধতি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ