শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫ ।। ৬ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত দিল বিএসএফ কেন্দুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর আলোচনা সভা আগে সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারীদের তালিকায় থাকবে শেখ হাসিনার নাম: আসিফ মাহমুদ নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার হতে হবে: শায়খে চরমোনাই রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলা করুন: তারেক রহমান মহানবী (সা.)-এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল : ধর্ম উপদেষ্টা ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে থাকছি না: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় কেবল মুসলিমদের নাম: পাকিস্তান

এখন বিএনপি যা করতে পারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

bnpআওয়ার ইসলাম: দশম সংসদ নির্বাচনের তিন বছর গত হলেও বিতর্কের রেশ যেনো কাটছেই না। ক্ষমতাসীন ও দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল বিএনপি — উভয়েই যার যার অবস্থানে অনড়। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের জয়যাত্রা দিবস’ হিসেবে পালন করেছে। আর বিএনপি পালন করেছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে। কিন্তু জনগণ ভাবছে কী?

রাজনীতিকদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র দিন-তারিখ ধরে আসে না। স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকার বা গণতান্ত্রিক দলের পার্থক্য হলো প্রথমজন বিরোধীদের কথা শুনতে চান না, বরং গায়ের জোরে মুখ বন্ধ করে দেন। আর দ্বিতীয়জন নিজ মতের বিরোধী হলেও তা শোনেন এবং বলার সুযোগ করে দেন। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার যেমন বলেছিলেন, ‘আমি তোমার মতের সঙ্গে দ্বিমত করতে পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’ এটাই হলো গণতন্ত্র।
আওয়ামী লীগের উচিৎ, বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে দিয়ে বিএনপির দাবীকে মিথ্যা প্রমাণ করা। আর বিএনপির উচিৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজের দাবীর ব্যাপারে জনমুখী আন্দোলন করা।

প্রশ্ন হলো প্রশ্ন হলো এখন বিএনপির সামনে কী কী পথ খোলা আছে? বিএনপিকে জনসভা করতে না দিলে দলের নেতারা কী কী করতে পারেন। প্রথমত, তাঁরা একেবারেই চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারেন। তাঁদের হয়ে আওয়ামী লীগের নেতারাই ‘প্রচার’কাজটি চালাবেন। দ্বিতীয়ত, জনসভা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা আগের মতো পুরোনো ধারার আন্দোলনে ফেরার চেষ্টা করতে পারেন। সেটি অবশ্য কারও জন্যই ভালো হবে না। তৃতীয়ত, বিএনপি দলীয় অফিসে গিয়ে অনশন করতে পারেন এবং তা সম্ভব না হলে বিএনপি নেতারা নিজ নিজ ঘরে বসে অনশন করতে পারেন। নিজ ঘরে অনশনের ওপর কোনো সরকারই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। চতুর্থত, বিএনপি নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে অবস্থান ধর্মঘট করতে পারেন। পঞ্চমত, সরকার যখন বিএনপি অফিস ঘেরাও করে রাখে, তখন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চাইতে পারে। সেখানে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সাহস পাবে বলে মনে হয় না। শত হলেও আওয়ামী লীগ অফিস। ষষ্ঠত, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরের বাইরে বুড়িগঙ্গার ওপর জাহাজে সমাবেশ করতে পারেন। ডিএমপি ঢাকা শহরের সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বুড়িগঙ্গা সে ধরনের কোনো আইন নেই। কেননা সেটি জল পুলিশের অধীনে। সপ্তমত, বিএনপি তাঁদের কথাগুলো দেশবাসীকে বিকল্প উপায়ে জানাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মূলধারার গণমাধ্যমকে উদারহস্তে ব্যবহার করতে পারেন।

তবে আওয়ামী লীগ যদি মনে করে থাকে, বিএনপিকে ঘরে বন্দী করে রেখে কিস্তিমাত করা যাবে, তাহলে বলব, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কিস্তিমাত করতে হলে জনগণের হৃদয় জয় করতে হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও স্বীকার করেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে দুর্বল হলেও জনসমর্থনে দুর্বল নয়।’

এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ