শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফরিদপুরে বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই 

সুদানে নিহত ২৫২

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

sudanডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সরকারদলীয় এবং বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন নিহতের খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। পরে আজ রোববার সকালে মৃতের সংখ্যা ২৫২ বলা হয়। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে এ সংখ্যা হাজারেরও বেশি।

বিবিসি জানিয়েছে, দুদিন আগে সংঘর্ষের সূচনা হলেও এখনো সেখানে গোলাগুলি চলছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। স্থানীয় বিদ্রোহী দলগুলো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ায় সংকট এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, জুবায় প্রধান সরকারি হাসপাতালের মর্গ মরদেহে ভরে গেছে। আরেকজন চিকিৎসক জানান, আনুমানিক ২৫০টি লাশ দেখেছেন তিনি। নিহতদের মধ্যে সেনা ও বেসামরিক লোক রয়েছে। তবে তাঁরা জানান, সেনারা মরদেহ পরীক্ষা করার সুযোগ না দেওয়ায় লাশের সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকদের একজন জানান, নিহতদের বেশির ভাগই পুলিশ ও সৈনিক।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট সালভা কির তাঁর প্রাসাদে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক বিদ্রোহী নেতা রেইক মাচারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর পরপরই উভয় নেতার দেহরক্ষীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

২০ মাসের গৃহযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হলেও তাতে শান্তি আসেনি। উভয় পক্ষই নিজ নিজ পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। দক্ষিণ সুদানের পঞ্চম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ বন্দুকযুদ্ধের পর শনিবার অনেকটা শান্ত ছিল রাস্তাঘাট। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কায় আইএমএফের মতো বিদেশি সংস্থাগুলো জুবা থেকে তাদের স্টাফদের সরিয়ে নিচ্ছে।

/আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ