শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফরিদপুরে বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই 

‘রোহিঙ্গা’ বলাও নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Rohingaআন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু ধর্মীয়গোষ্ঠি রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’ বলা নিষিদ্ধ করল মিয়ানমার। এর পরিবর্তে তাদের ‘ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী’ বলে অভিহিত করতে নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের প্রশাসন।

এর আগে ‘রোহিঙ্গাদের গুম, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রম, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক হয়রানি’ সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণ হতে পারে।’

এরপর অং সান সুচি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, মিয়ানমার সরকার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়িয়ে ‘ইসলাম ধর্মাবলম্বী’ শব্দ ব্যবহার করে। তাই জাতিসংঘেরও তাই করা উচিত।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চলমান বিতর্ক পাশ কাটাতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মিয়ানমার। বিশেষ করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লির মিয়ানমার সফরে সরকারি কর্মকর্তারা যেন রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করেন, সেটা নিশ্চিত করতে চায় দেশটি।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইয়াংহি লির সফরে রোহিঙ্গা বা বাঙালি শব্দগুলো ব্যবহার করা হবে না। এর বদলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী’ বলে অভিহিত করা হবে। ১৬ই জুন ইস্যু করা ওই চিঠিকে ‘গোপনীয়’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে। ওই চিঠিতে রাখাইন আদিবাসীদের ‘রাখাইন প্রদেশের বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী’ বলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশেই বাস করে থাকেন। তাদের নাগরিকত্বের আবেদনের বেশিরভাগই বাতিল করে আসছে মিয়ানমার সরকার।
মানবাধিকার কর্মী ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া অসহায় রোহিঙ্গা সহ সকলে ধারণা করেছিলেন, দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসবে। কিন্তু এখনো তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। রাখাইন প্রদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আটকে রয়েছেন। তাদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার থেকেও তাদের বড় একটি অংশ বঞ্চিত।
সূত্র :এএফপি

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ