সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৭ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করতে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফোন ট্র্যাকিং এর শিকার হলে সব গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এতে হুমকিতে পড়তে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার বিষয়টি। তবে সতর্ক থাকলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ট্র্যাকিং বুঝার উপায়-
নোটিফিকেশন প্যানেলে ডিভাইস লোকেটেড লেখা কোনো নোটিফিকেশন আসে কি না খেয়াল রাখুন। ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায় কি না খেয়াল করুন। ট্র্যাকিং হচ্ছে কি না জানতে বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন- *# ৬১# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না, তা জানাবে। একইভাবে *# ৬২# ডায়াল করে দেখা যাবে, কোনো ডাইভারশন সফটওয়্যার বিভিন্ন কল ও টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কি না। এরপরও যদি মনে করেন নিরাপত্তা হুমকির মুখে, তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করুন। 

প্রতিরোধে করণীয়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় লোকেশন বার বন্ধ করে রাখুন। ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে ফোনের জিপিএস অপশনটি বন্ধ করে রাখতে হবে। যদি আসে, তাহলে ফোনে লগইন করা জি-মেইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে হবে। যদি ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইল ফোনের সেটে স্পাই অ্যাপ আছে। সমাধান পেতে, ফোনের ডেভেলপার অপশনে চলে যান। সেখান থেকে রানিং সার্ভিস অপশনে গিয়ে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ চোখে পড়লে সোজা আন-ইনস্টল করে দিন। 

ট্র্যাকিং হওয়ার বিষয় একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে ফোনের সেটিংসে যান এবং ‘লোকেশন’ সেটিংস অফ করে দিন। এটি ফোনকে আপনার অবস্থান সংগ্রহ করা বন্ধ করতে সাহায্য করবে। চাইলে ডিভাইসে একটি ভিপিএন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিকটিকে এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার অবস্থান গোপন রাখতে সাহায্য করবে। 

এ ছাড়া নিরাপদ থাকতে ফোনকে ট্র্যাকিং থেকে রক্ষা করার জন্য একটি লক স্ক্রিন ব্যবহার এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বা ফাংশনাল প্যাটার্ন দিয়ে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। ফোন রুট করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অনেক সময় রুটের মাধ্যমে ফোনের এক্সেস পেয়ে যায়, এতে ফোনের তথ্যাদি চুরি হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ, যেমন স্প্যাম বক্সের জমা করা মেসেজ খোলা থেকে বিরত থাকুন। 

কোনো লিংক থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয় এবং কোনো ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করা ভালো। 

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ