শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৪৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল জমিয়ত ফরিদপুরে বয়স্কদের নামাজ প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ বরিশাল বিভাগের ২১ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ৩২৫ জন ভর্তি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হবে আগামীর মসজিদ কমিটি: ধর্ম উপদেষ্টা স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্যে জাতিকে বিভক্ত করা যাবে না : সালাহউদ্দিন বাচ্চারা উল্টো জুতা পরতে পছন্দ করে কেন?  ৫ আগস্টে জাতি দম ফিরে পেয়েছে: তারেক রহমান সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জনের সম্পৃক্ততা: জিএমপি কমিশনার

‘যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন) পদ্ধতি নিয়ে যারা গোঁ ধরছেন, তারা সাধারণত নির্বাচনকে ভয় পেয়ে এই পদ্ধতি চায়। তার মতে, এদের নির্বাচনে ভয় পাওয়ার বাস্তব কারণও রয়েছে। অনেক ইসলামী দল রয়েছে, যাদের প্রার্থীরা কখনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি; যার মধ্যে অন্যতম হলো ইসলামী আন্দোলন।

দুদু বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেই সব নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগকে তারা পেয়ারের সংগঠন মনে করত। কিন্তু বরিশালের শেষ নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ার পর থেকে তারা এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।”

শনিবার (৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, “যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয়, তাহলে এটি তাদের কর্মসূচিতে নিয়ে নির্বাচন জিতে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুক এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিক। কারণ পিআর পদ্ধতি চালু করার জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।”

দুদু উল্লেখ করেন, “বিশ্বের অনেক দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে প্রায় তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকার পতন ঘটেছে। নেপালই তার বড় উদাহরণ। একটি দেশের স্থিতিশীল সরকার দরকার, যাতে উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাহীন হয়। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে সেটা নিশ্চিত হওয়া কঠিন।”

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন দেশে সরকারি কোনো দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্ব-উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে সেটাই তাদের ব্যর্থতা।”

দুদু বলেন, “বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। এসব দাবি নির্বাচন কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমই হলো নির্বাচন। যদি তাদের দাবি জনপ্রিয় হয়, তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবির জন্য অন্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করা ঠিক নয়।”

সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ