ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, গত ১৬ মে '২৫ রাজধানীতে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ ব্যানারে একটি মিছিল বের করা হয়। সেখানে বিকৃত মস্তিস্কের সমাজ বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষ অংশ নেয়। এদের মধ্যে কিছু মহিলাও ছিল যারা আত্মস্বীকৃত পতিতা। তারা অশ্লীল, অসভ্য পোষাকে নিজেদেরকে বেশ্যা বলে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এসব বক্তব্য সম্বলিত ফেস্টুন, প্লেকার্ডও তারা বহন করে, যা সকল মিডিয়াতে এসেছে। তাদের এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কার্যক্রম এদেশের সর্বস্তরের মানুষকে হতভম্ভ করেছে। তাদের এ আচরণ এদেশের কোটি কোটি মা-বোনদেরকে অপমানিত করেছে। আমাদের সম্মানিতা মা-বোনদেরকে চরমভাবে ট্রমায় ফেলেছে। তাদের হৃদয়ে কুঠারাঘাত করেছে।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানী উত্তরের ভাটারাস্থ নগর উত্তর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি আরমান প্রমুখ।
শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরো বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নারী মনে করেন নারীর স্বত্বীত্ব তাদের সম্মান ও গৌরবের বিগধষয়। অথচ কিছু বিকৃত মস্তিস্কের কুরুচিপূর্ণ অন্ধকার জগতের কীট আমাদের সম্মানিতা নারী জাতিকে কলঙ্কিত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত। এরা ভিনদেশি দালাল। পশু সভ্যতার সাপ্লায়ার। এরা আমাদের সভ্য-শালীন, শান্তিপূর্ণ স্থীতিশলীল একটা সমাজব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চায়।
আইনি দিক থেকে পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পতিতাবৃত্তি দন্ডনীয় অপরাধ। যারা প্রকাশ্যে নিজেদেরকে বেশ্যা/পতিতা বলে শ্লোগন দিয়েছে কিংবা ফেস্টুন, প্লেকার্ড বহন করেছে, এ প্রোগ্রোমে অংশ গ্রহণ করেছে এবং এর আয়োজন করেছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে দেশের আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে।
এদেরকে গ্রেফতার না করলে চোর ডাকাতও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাঠে নামবে। তারাও তাদের পেশার স্বীকৃতি চাবে। কোন অপকর্ম কিংবা অপরাধ কোনাদিন পেশা হতে পারে না। পতিতাবৃত্তিপ কোন পেশা হতে পারে না। এর মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। মানবজাতির বংশ বিস্তারের পবিত্র পন্থাকে ধ্বংস করে দেয়। মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ রয়েছে। এ সকল মহিলা নামের অসভ্যরা একদিকে সম্পত্তিতে নারীদের উত্তরাধিকার বা সমঅধিকারের শ্লোগান দেয়, অন্যদিকে পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি চায়। যেখানে উত্তরাধিকার বলতেই কিছু নেই। এদেশের মানুষ মানবাধিকার এর পক্ষে। তার মানে এটা নয় কি? যে, চুরি, ডাকাতি কিংবা পতিতাবৃত্তির মত অপরাধিদের অপকর্মের অধিকার দিতে হবে।
সরকার যদি দেশটাকে এসব অসভ্য ও বর্ববরাতার দিকে ঠেলে দিতে চায়, তাহলে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখতে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
এমএইচ/