শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক

থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের কী দিয়েছে? দুধের শিশু উমায়েরের লাশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়:

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নাম দিয়ে দেশজুড়ে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ বড়ো বড়ো শহরগুলোতে চলে প্রচুর পরিমাণে আতশবাজি। শব্দ দূষণের মাধ্যমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনজীবন। ওড়ানো হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ফানুশ৷ সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সম্পদের অপব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি করা হচ্ছে ভিন্ন সংস্কৃতি।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার মিরপুর সনি স্কয়ারে মাঝি মাল্লার দল নামক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অপসংস্কৃতি, ক্ষয়ক্ষতি এবং অশ্লীলতার কথা তুলে ধরে মানববন্ধন করা হয়।

মাঝি মাল্লার দলের অ্যাক্টিভিস্ট ও ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী খিজির হায়াত বলেন, "থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের কী দিয়েছে? দুধের শিশু উমায়েরের লাশ দিয়েছে৷ লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ পাখির তাজা প্রাণের সমাপ্তি দিয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের অসহ্য যন্ত্রণা দিয়েছে। বাসাবাড়িতে, দোকানপাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উপহার দিয়েছে। এভাবে পরিবেশ দূষণ করা কখনোই সুস্থ সংস্কৃতি হতে পারে না।"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাঝি মাল্লার দলের অ্যাক্টিভিস্ট নাঈমুর রহমান বলেন, "বিনোদন কখনো এমন হতে পারে না। অশ্লীলতা-বেহায়পনা কখনো বিনোদন হতে পারে না। মদ-গাঁজা-ইয়াবা ইত্যাদির মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত হয়ে উদযাপন কখনো সমাজ ও দেশকে সুস্থ বিনোদনের দিকে নিতে পারে না। যাদের বিনোদনকে অনুসরণ করে এসব করা হচ্ছে, সেসব পশ্চিমাদের দেশেই ধর্ষণ ও সুইসাইডের হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ইসলামও আমাদের বিনোদনের জন্য দুটি ঈদ রেখেছে। কায়িক শ্রম হয় এমন খেলাধুলা ও ব্যায়ামকে ইসলাম বৈধতা দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এসব হালাল বিনোদনের দিকে ফিরে যেতে হবে। নয়তো এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নৈতিকভাবে অধঃপতনের চূড়ান্তে পৌঁছাবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ