শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
"পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা” ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর!

থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের কী দিয়েছে? দুধের শিশু উমায়েরের লাশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়:

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নাম দিয়ে দেশজুড়ে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ বড়ো বড়ো শহরগুলোতে চলে প্রচুর পরিমাণে আতশবাজি। শব্দ দূষণের মাধ্যমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনজীবন। ওড়ানো হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ফানুশ৷ সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সম্পদের অপব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি করা হচ্ছে ভিন্ন সংস্কৃতি।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার মিরপুর সনি স্কয়ারে মাঝি মাল্লার দল নামক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অপসংস্কৃতি, ক্ষয়ক্ষতি এবং অশ্লীলতার কথা তুলে ধরে মানববন্ধন করা হয়।

মাঝি মাল্লার দলের অ্যাক্টিভিস্ট ও ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী খিজির হায়াত বলেন, "থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের কী দিয়েছে? দুধের শিশু উমায়েরের লাশ দিয়েছে৷ লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ পাখির তাজা প্রাণের সমাপ্তি দিয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের অসহ্য যন্ত্রণা দিয়েছে। বাসাবাড়িতে, দোকানপাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উপহার দিয়েছে। এভাবে পরিবেশ দূষণ করা কখনোই সুস্থ সংস্কৃতি হতে পারে না।"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাঝি মাল্লার দলের অ্যাক্টিভিস্ট নাঈমুর রহমান বলেন, "বিনোদন কখনো এমন হতে পারে না। অশ্লীলতা-বেহায়পনা কখনো বিনোদন হতে পারে না। মদ-গাঁজা-ইয়াবা ইত্যাদির মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত হয়ে উদযাপন কখনো সমাজ ও দেশকে সুস্থ বিনোদনের দিকে নিতে পারে না। যাদের বিনোদনকে অনুসরণ করে এসব করা হচ্ছে, সেসব পশ্চিমাদের দেশেই ধর্ষণ ও সুইসাইডের হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ইসলামও আমাদের বিনোদনের জন্য দুটি ঈদ রেখেছে। কায়িক শ্রম হয় এমন খেলাধুলা ও ব্যায়ামকে ইসলাম বৈধতা দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এসব হালাল বিনোদনের দিকে ফিরে যেতে হবে। নয়তো এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নৈতিকভাবে অধঃপতনের চূড়ান্তে পৌঁছাবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ