বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কুমিল্লা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা হাসনাত আব্দুল্লাহর বিচারকের সন্তান হত্যার ঘটনায় আইন উপদেষ্টার নিন্দা, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর প্রয়াণে ধর্ম উপদেষ্টার শোক একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন জাতির সাথে তামাশার শামিল: পীর সাহেব চরমোনাই ১৫ নভেম্বর খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল লক্ষ্যে সিলেটে বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে দেশবাসী উজ্জীবিত: লেবার পার্টি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণে একধাপ অগ্রগতি: খেলাফত মজলিস  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ঝুঁকিতে ফেলেছে সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আত্মার বন্ধন এখনো অটুট: মাওলানা ফজলুর রহমান

গণভোটে চারটি বিষয়ের একটি প্রশ্ন, মতামত শুধু হ্যাঁ বা না-তে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণভোটে মোট চারটি বিষয় থাকবে। তবে এই চার বিষয়ের ওপর সমন্বিতভাবে হ্যাঁ বা না মতামত দিতে হবে ভোটারদের। আলাদাভাবে কোনো প্রশ্নের ওপর মতামত দেয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, সকল বিষয় বিবেচনা করে সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে।

এ সময় জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি প্রশ্নটি এখন আপনাদের সামনে পাঠ করে শোনাচ্ছি। প্রশ্নটি হবে এ রকম—

আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?

ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে ভোটাররা মতামত জানাতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই পরিষ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্তভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ