শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাপের কামড়ের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা সদরের কমপক্ষে দুটি ফার্মেসিতে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে বলা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই নির্দেশনাটি গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাখিল করা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়েছিল ১৮ আগস্ট, যার রিটকারী আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ইসমাঈল হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সাপের কামড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এই পাঁচ মাসে ৬১০ জন সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন।

সাম্প্রতি বাংলাদেশে এই বিষধর সাপটি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং এটি ২৭টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এটি ভাইপারিড গ্রুপের একটি বিষাক্ত সাপ।

২০২২ সালে পরিচালিত জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর চার লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন এবং দুঃখজনকভাবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

ডা. রোবেদ আমিন জানান, বিষধর সর্পদংশনের স্বীকৃত চিকিৎসা হচ্ছে অ্যান্টিভেনম। দেশের প্রধান বিষধর সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা ঘোড়ার শরীরে প্রয়োগ করা, ঘোড়ার রক্তের সিরাম থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয় না। ভারতে তৈরি (৪টি প্রধান বিষধর সাপের বিরুদ্ধে প্রস্তুত) অ্যান্টিভেনম সংগ্রহ করে অসংক্রামক ব্যধি কর্মসূচি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সরবারহ করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিভেনম ক্রয়, বিতরণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবহার পরবর্তী প্রভাব (নজরদারি) দেখার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কমসূচি না থাকা সত্ত্বেও অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের সুফল লক্ষ্যণীয়।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সাপে কাটা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রাপ্তি সহজ হবে বলে আশা করা যায়, যা সর্পদংশনে মৃত্যুর হার কমাতে সহায়ক হতে পারে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ