খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভায় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও অপরাধীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারীর অভাবে ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সিয়াম নামক এক নিরীহ যুবককে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সংবেদনশীল এই সময়ে উক্ত ঘটনা কোনভাবেই স্বাভাবিক কিংবা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে খুনীরা মাঠে নেমেছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এখনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ১৮ কোটি জনগণকে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রেখে মাত্র কয়েকজন ব্যক্তিকে গানম্যান প্রদানের সরকারি উদ্যোগ সুস্পষ্ট বৈষম্য। শহীদ ওসমান হাদীর হত্যার বিচার নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। এখনো তার হত্যাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি সরকার।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, অস্ত্র উদ্ধার ও সাঁড়াশী অভিযান জোরদার করতে হবে। খুনী ও ফ্যাসীবাদী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী নির্মূল করতে হবে। নির্বাচনকালীন ওয়াজ মাহফিলের উপর বিধি-নিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হচ্ছে। আমরা এই ধরণের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
আরএইচ/