শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
রাজসাক্ষী হওয়ার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমা ইসলামী আন্দোলনের গোলটেবিলে অন্য দলের যারা যোগ দিলেন  মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যা, অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা: যুব মজলিস জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন রক্ষায় পিআরই একমাত্র সমাধান: পীর সাহেব চরমোনাই মিটফোর্ডে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে চান্দিনায় বিক্ষোভ  ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ১৭ ফিলিস্তিনি খানকায়ে আহমদিয়ার ২৭তম আধ্যাত্মিক কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব তীব্র গরমে হাতে তৈরি এয়ার কুলারই ভরসা আফগান ট্যাক্সিচালকদের ‘নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেবো না’ — রিফাত রশিদ

যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে জাতিসংঘ অফিস খুলতে চায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেছেন, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত উদ্বেগ রয়েছে, সেখানে জাতিসংঘকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ বাংলাদেশে, যেখানে মানবাধিকার রক্ষার জন্য বিদেশি কার্যালয়ের কোনো প্রয়োজন নেই, সেখানে তারা অফিস খুলতে চায়। এটা আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার কার্যালয় চাই না। আমাদের রাষ্ট্রের নিজস্ব সংবিধান, আইন-আদালত, মানবাধিকার কমিশন ও সচেতন জনগণ রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন করলে তা দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দেশে যখন গণহত্যা, নিপীড়ন ও নির্যাতন চলে, তখন জাতিসংঘ সেখানে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। অথচ বাংলাদেশে, যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবাধিকারের বিষয়ে অগ্রগতি রয়েছে, সেখানে অনুরোধ ছাড়াই একটি মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন করতে চায় তারা।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের অন্যান্য নেতারাও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, এই ধরনের কার্যালয়ের আড়ালে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে টার্গেট করা হতে পারে।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের মানুষ স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্নে কখনও আপস করেনি। কোনো চাপ কিংবা আগ্রাসনের চেষ্টা চললে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ওলামা-মাশায়েখরা অংশ নেন। এসময় তাদের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ