শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশুর বারবার ঠান্ডা লাগা: কারণ ও প্রতিকার জানুন ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে কেন একজন মাওলানা ফজলুর রহমান নেই, কেন হয় না! বড় হচ্ছে দুদকের পরিধি, কর্মকর্তাদের সম্পদ যাচাই বাধ্যতামূলক আগামী সপ্তাহে প্রবাসীদের ঠিকানায় যাচ্ছে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচন করবেন: উপদেষ্টা আসিফ খোদাদ্রোহী বাউল আবুল সরকারের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে জাতীয় ইমাম পরিষদের মানববন্ধন বাউলদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪ দুটি ট্রলারসহ টেকনাফের ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মাসবুক সাহু সেজদার সালামে শরিক হবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি যুবাইর মাহমুদ রাহমানি

প্রশ্ন : আমরা জানি, মাসবুক ইমামের সাথে সাহু সেজদায় শরিক হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাহু সেজদার যে সালাম আছে, তাতে মাসবুক শরিক হবে কি না? বিষয়টা একটু খোলাসা করলে কৃতার্থ হবো।

উত্তর : মাসবুক বলা হয়, যার শুরু থেকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গিয়েছে। কাজেই তাকে ইমাম সালাম ফেরানোর পর ছুটে যাওয়া নামাজগুলো কাজা করতে হবে।

সুতরাং যেহেতু তার ওপর এখনও দু এক রাকাত বাকি রয়ে গেছে, তাই সে ইমামের সঙ্গে সাহু সেজদার সালামে শরিক হবে না। কারণ, ইচ্ছাকৃত সালাম ফেরালে নামাজ ভেঙে যায়। অবশ্য মাসবুক ইমামের সাহু সেজদায় শরিক হবে।

আর মাসয়ালা জানা না থাকার কারণে যদি সে ইমামের সাথে সাহু সেজদার সালামে শরিক হওয়া জরুরি মনে করে সাহু সেজদার সালামে শরিক হয়, সেক্ষেত্রেও তার নামাজ ভেঙে যাবে। কারণ, মাসয়ালা জানা না থাকার কারণে সে ইচ্ছাকৃতভাবে সালামে শরিক হয়েছে। এক্ষেত্রে মাসয়ালা সম্পর্কে অজ্ঞতাকে উজর হিসেবে গণ্য করা হবে না।

আর যদি মাসবুক ভুলবশত সাহু সেজদার সালামে শরিক হয়, তবে এক্ষেত্রে তিন সুরত:

এক. হয়তো ভুলে সে ইমামের আগে সালাম ফিরিয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে পরবর্তীতে সাহু সেজদা করতে হবে না।

দুই. অথবা সে ভুলবশত ইমামের সাথে সাথে সালাম ফিরিয়েছে, তো এক্ষেত্রেও তাকে পরবর্তীতে সাহু সেজদা করতে হবে না।

তিন. আর যদি সে ভুলে ইমামের পরে সালাম ফেরায়, তবে তাকে তার ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করার শেষে সাহু সেজদা করতে হবে। কারণ, তার ভুলটা ইনফিরাদি (একাকী) অবস্থায় হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথমোক্ত দুটি সুরত খুব কম ঘটে থাকে। সাধারণত তৃতীয় সুরতটিই অধিক সংঘটিত হয়।

রদ্দুল মুহতারে রয়েছে :

(قَوْلُهُ وَالْمَسْبُوقُ يَسْجُدُ مَعَ إمَامِهِ) قَيَّدَ بِالسُّجُودِ لِأَنَّهُ لَا يُتَابِعُهُ فِي السَّلَامِ، بَلْ يَسْجُدُ مَعَهُ وَيَتَشَهَّدُ فَإِذَا سَلَّمَ الْإِمَامُ قَامَ إلَى الْقَضَاءِ، فَإِنْ سَلَّمَ فَإِنْ كَانَ عَامِدًا فَسَدَتْ وَإِلَّا لَا، وَلَا سُجُودَ عَلَيْهِ إنْ سَلَّمَ سَهْوًا قَبْلَ الْإِمَامِ أَوْ مَعَهُ؛ وَإِنْ سَلَّمَ بَعْدَهُ لَزِمَهُ لِكَوْنِهِ

مُنْفَرِدًا حِينَئِذٍ بَحْرٌ، وَأَرَادَ بِالْمَعِيَّةِ الْمُقَارَنَةَ وَهُوَ نَادِرُ الْوُقُوعِ كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. وَفِيهِ: وَلَوْ سَلَّمَ عَلَى ظَنِّ أَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يُسَلِّمَ فَهُوَ سَلَامُ عَمْدٍ يَمْنَعُ الْبِنَاءَ.

[ابن عابدين ,الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) ,2/83]

 

মুফতি যুবাইর মাহমুদ রাহমানি

প্রশ্ন : আমরা জানি, মাসবুক ইমামের সাথে সাহু সেজদায় শরিক হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাহু সেজদার যে সালাম আছে, তাতে মাসবুক শরিক হবে কি না? বিষয়টা একটু খোলাসা করলে কৃতার্থ হবো।

উত্তর : মাসবুক বলা হয়, যার শুরু থেকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গিয়েছে। কাজেই তাকে ইমাম সালাম ফেরানোর পর ছুটে যাওয়া নামাজগুলো কাজা করতে হবে।

সুতরাং যেহেতু তার ওপর এখনও দু এক রাকাত বাকি রয়ে গেছে, তাই সে ইমামের সঙ্গে সাহু সেজদার সালামে শরিক হবে না। কারণ, ইচ্ছাকৃত সালাম ফেরালে নামাজ ভেঙে যায়। অবশ্য মাসবুক ইমামের সাহু সেজদায় শরিক হবে।

আর মাসয়ালা জানা না থাকার কারণে যদি সে ইমামের সাথে সাহু সেজদার সালামে শরিক হওয়া জরুরি মনে করে সাহু সেজদার সালামে শরিক হয়, সেক্ষেত্রেও তার নামাজ ভেঙে যাবে। কারণ, মাসয়ালা জানা না থাকার কারণে সে ইচ্ছাকৃতভাবে সালামে শরিক হয়েছে। এক্ষেত্রে মাসয়ালা সম্পর্কে অজ্ঞতাকে উজর হিসেবে গণ্য করা হবে না।

আর যদি মাসবুক ভুলবশত সাহু সেজদার সালামে শরিক হয়, তবে এক্ষেত্রে তিন সুরত:

এক. হয়তো ভুলে সে ইমামের আগে সালাম ফিরিয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে পরবর্তীতে সাহু সেজদা করতে হবে না।

দুই. অথবা সে ভুলবশত ইমামের সাথে সাথে সালাম ফিরিয়েছে, তো এক্ষেত্রেও তাকে পরবর্তীতে সাহু সেজদা করতে হবে না।

তিন. আর যদি সে ভুলে ইমামের পরে সালাম ফেরায়, তবে তাকে তার ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করার শেষে সাহু সেজদা করতে হবে। কারণ, তার ভুলটা ইনফিরাদি (একাকী) অবস্থায় হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথমোক্ত দুটি সুরত খুব কম ঘটে থাকে। সাধারণত তৃতীয় সুরতটিই অধিক সংঘটিত হয়।

রদ্দুল মুহতারে রয়েছে :

(قَوْلُهُ وَالْمَسْبُوقُ يَسْجُدُ مَعَ إمَامِهِ) قَيَّدَ بِالسُّجُودِ لِأَنَّهُ لَا يُتَابِعُهُ فِي السَّلَامِ، بَلْ يَسْجُدُ مَعَهُ وَيَتَشَهَّدُ فَإِذَا سَلَّمَ الْإِمَامُ قَامَ إلَى الْقَضَاءِ، فَإِنْ سَلَّمَ فَإِنْ كَانَ عَامِدًا فَسَدَتْ وَإِلَّا لَا، وَلَا سُجُودَ عَلَيْهِ إنْ سَلَّمَ سَهْوًا قَبْلَ الْإِمَامِ أَوْ مَعَهُ؛ وَإِنْ سَلَّمَ بَعْدَهُ لَزِمَهُ لِكَوْنِهِ

مُنْفَرِدًا حِينَئِذٍ بَحْرٌ، وَأَرَادَ بِالْمَعِيَّةِ الْمُقَارَنَةَ وَهُوَ نَادِرُ الْوُقُوعِ كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. وَفِيهِ: وَلَوْ سَلَّمَ عَلَى ظَنِّ أَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يُسَلِّمَ فَهُوَ سَلَامُ عَمْدٍ يَمْنَعُ الْبِنَاءَ.

[ابن عابدين ,الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) ,2/83]

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ