|| শাব্বির আহমাদ খান ||
দোয়া হলো ইবাদতের মূল। এটি এক বিশেষ ইবাদত যার মাধ্যমে বান্দা তার প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং তাঁর করুণা ও রহমতের ভিক্ষা চায়। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বান্দাকে দোয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন: ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব।’
(সূরা গাফির, আয়াত ৬০)
অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর আমার বান্দারা যখন তোমার নিকট আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তখন বলে দাও, আমি তো নিশ্চয়ই কাছেই আছি। যখন কেউ আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দিই।’
(সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৬)
দোয়া শুধু চাওয়ার মাধ্যম নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বান্দার আত্মনিবেদন এবং তাঁর প্রতি আস্থা ও নির্ভরতার প্রকাশ। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হন।’
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস ৩৩৭৩)
দোয়া কবুলের বিশেষ সময়
দোয়া সব সময়ই করা যায়, তবে কিছু সময় রয়েছে যখন দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। সে সময়গুলো হলো:
১. জুমার দিন: জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দা দোয়া করলে তা কবুল হয়। অধিকাংশ আলেমের মতে, সেই মুহূর্তটি হলো জুমার খুৎবার সময়।
২. আসর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত: এই সময়টিও দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত। হাদিস শরীফে এসেছে, এই সময় আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং বান্দার দোয়া কবুল হয়।
দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র। এটি বিশ্বাস, ভরসা, ভালোবাসা ও বিনয় প্রকাশের মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার দোয়া শুনতে ভালোবাসেন এবং বান্দা যখন হৃদয় থেকে দোয়া করে, তিনি অবশ্যই তাতে সাড়া দেন।
আসুন, আমরা সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি এবং তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁরই সাহায্য কামনা করি।
এসএকে/