শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা ঝিনাইদহে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ ‘চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে মানুষ হত্যায় পুরো জাতি স্তম্ভিত’ বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম যুগপূর্তি উৎসব ও দেয়ালিকা-ম্যাগাজিন প্রদর্শনী-২০২৫ নব্য হায়েনাদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত বাংলাদেশ! পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা: প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা: ২ জন রিমান্ডে

আজানের সময় যে কারণে কানে আঙুল রাখা হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আজান (আরবি: أَذَان) হচ্ছে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানানোর ইসলামি পদ্ধতি। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য ৫ বার মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হয়।

এ ছাড়া সফরে বের হলে, মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যখন নামাজের সময় হয়, তোমাদের কেউ যেন আজান দেয় এবং তোমাদের বয়োজ্যষ্ঠ ব্যক্তি যেন ইমামতি করে। (সুনানে আবু দাউদ)

৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।

আজান দেওয়ার সময় ২ হাতের আঙুল কানে রাখা মুস্তাহাব। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বেলাল রা. আজানের সময় কানে আঙুল রাখতেন বলে বর্ণিত রয়েছে।

আবু জুহাইফাহ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি বেলালকে রা. তার ২ কানে আঙ্গুল দিয়ে আজান দিতে এবং আজানে এধার ওধার অর্থাৎ ডানে-বামে চেহারা ফেরাতে দেখেছি। (সুনানে তিরমিজি)

আজানের সময় কানে আঙুল রাখার কারণ বর্ণিত হয়েছে আরেকটি হাদিসে। রাসূলুল্লাহ সা. এর মুয়াজ্জিন সাদ রা. থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সা. বেলাল রা.-কে আজানের সময় ২ কানের ছিদ্রে আঙ্গুল রাখার নির্দেশ দেন এবং বলেন, তাতে তোমার কন্ঠস্বর আরো উঁচু হবে। (সুনানে ইবনে মাজা)

আজান দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। মুআজ্জিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। বিভিন্ন হাদিসে আজান দেওয়ার প্রভূত ফজিলত ও সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু তাকে সত্যায়ন করে। (মুসনাদে আহমদ)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সা’সাআহ রহ. বলেন, একদিন আবু সাইদ খুদরি রা. তাকে বললেন, তুমি তো ছাগল ও মরুভূমি ভালোবাসো। তুমি যখন তোমার ছাগল চরানোর কাজে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাজের জন্য আজান দেবে, তখন উচ্চৈস্বরে আজান দিয়ো। কারণ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কেয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। আমি এটা রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে শুনেছি। (সহিহ বুখারি)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ