শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, পাকিস্তানের স্বাগত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতাদেশ তুলে নিতে ভারতকে নির্দেশ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক সালিশ আদালত (পিসিএ)। গত ৮ আগস্ট দেওয়া এই রায়ে আদালত স্পষ্ট করেছে— চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কোনো বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ স্থাপনা সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোতে নির্মাণ করা যাবে না।

পাকিস্তান এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আদালত ভারতকে সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে এবং বাঁধ নির্মাণে মূল চুক্তির শর্ত মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার পর। ওই হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি পর্যটক নিহত হন। পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এর দায় স্বীকার করে। এর পরপরই ভারত একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানের তিন নদী— সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলামের পানিপ্রবাহ হ্রাস পায় এবং কৃষি খাত হুমকির মুখে পড়ে।

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে গেলে ৮ আগস্ট রায় দেন বিচারকরা। তারা বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর প্রবাহ বাধাহীন রাখতে হবে। ভারত যদি বাঁধ নির্মাণ করে, তা অবশ্যই চুক্তির শর্ত মেনে হতে হবে।”

সিন্ধু পানি চুক্তি
১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এতে পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী— ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয় ভারতকে, আর পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন নদ— সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাবের অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অধিকার পায় পাকিস্তান। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের কোনো বিধান নেই, বরং বিরোধ নিষ্পত্তির সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত আছে।

পাকিস্তানের সেচ ব্যবস্থা বিশ্বের বৃহত্তমগুলোর একটি, যা প্রায় সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। ফলে পানিপ্রবাহ হ্রাস দেশটির কৃষি, শহুরে পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, আনাদোলু এজেন্সি

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ