সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ তীব্র হচ্ছে, ত্রাণ শিবিরে ভারতের ৫০ হাজার মানুষ  ভৈরবকে জেলাকরার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ কক্সবাজার রামুতে নামাজরত অবস্থায় স্ট্রোকে ইমামের মৃত্যু চট্টগ্রাম-২ আসনে হাতপাখার নতুন প্রার্থী জুলফিকার আলী জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমাবে: ডা. শফিকুর রহমান  মাধবপুরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ৩০ ভোটে দায়িত্ব কাজ স্মরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বসছে ইসি ৪২ হাজার ৭৬১ কেন্দ্রে হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ধ্বংসযজ্ঞে ঝুঁকির মধ্যে গাজাবাসীর জীবন নবীজির সুন্নাহর মাঝেই শান্তি ও কামিয়াবি: মাওলানা আবদুল হাফিজ কাসেমী

ওয়াকফ আইন নিয়ে অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের বৈঠকে ৫ প্রস্তাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের (AIMPLB) তত্ত্বাবধানে অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল রোববার (১৩ এপ্রিল) একটি জরুরি বৈঠক করে। হায়দ্রাবাদের স্থানীয় মদিনা এডুকেশন সেন্টারের নেহরু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় ওয়াকফ আইন ২০২৫ এবং তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পাঁচটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের বহু বিশিষ্ট নেতা। যার মধ্যে ছিলেন: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সভাপতি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী, লোকসভার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, কংগ্রেস সংসদ সদস্য ইমরান মাসুদ, ফাহিম কোরেশি, আজমতুল্লাহ হোসাইনি প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, ওয়াকফ আইন ২০২৫ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। এ আইনকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারের ওপর আঘাত বলে চিহ্নিত করা হয়। গৃহীত প্রধান প্রস্তাবনা

১. ওয়াকফ আইন ২০২৫ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান: সভা একমত হয়ে এই আইন বাতিলের দাবি জানায় এবং একে সংবিধানবিরোধী ও সংখ্যালঘু অধিকারের জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করে।

২. সারাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন: একটি দেশব্যাপী গণআন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়, যেখানে জনগণকে এই আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানানো হয়।

৩. ধর্মনিরপেক্ষ ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতা: আইনবিরোধী সংগ্রামে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সাথে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

৪. রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস: বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভাগুলোকে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

৫. সমস্ত ধর্মের মধ্যে সংহতি গঠন: খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর প্রতিও সমর্থনের আহ্বান জানানো হয়, যারা ভবিষ্যতে অনুরূপ হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। সভায় একটি সমন্বিত রাজনৈতিক ও আইনগত আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে সচেতনতামূলক সভা, জনসমাগম ও প্রচারাভিযানের ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: রেডিয়েন্স নিউজ

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ