শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

সোমবার পশ্চিম তীর, শরণার্থী শিবির ও প্রবাসে পূর্ণদিবস হরতালের ডাক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চলমান গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আগামীকাল সোমবার পশ্চিম তীর, শরণার্থী শিবির এবং প্রবাসে পূর্ণদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের জাতীয় ও ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো।

রবিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে "আল-কুওয়া আল-ওয়াতানিয়্যাহ ওয়াল-ইসলামিয়্যাহ" বা জাতীয় ও ইসলামি শক্তিগুলো জানায়, সোমবারের এই হরতাল হবে "ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এবং শরণার্থী শিবির ও প্রবাসে সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে একটি সর্বাত্মক প্রতিবাদ।"

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই হরতাল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ-আন্দোলনকে সফল করার আহ্বান, যাতে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং দখলদারদের বর্বরতা বন্ধে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে এই হরতালের আয়োজন।”

এদিকে, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে জনগণকে এই হরতালে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার এবং বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে। হামাস নেতা আব্দুর রহমান শাদীদ বলেন, “গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যে গণহত্যা, জাতিগত নিধন ও নির্মূল অভিযান চলছে, এবং পশ্চিম তীরে দখলদার বাহিনী ও তাদের বসতকারীদের নৃশংস আগ্রাসন ও অত্যাচার চলছে—এই অবস্থায় দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও আন্দোলনই একমাত্র উপায়।”

তিনি আরও বলেন, “পশ্চিম তীরের প্রতিটি জনগণ, প্রতিটি শহর ও গ্রামের মানুষকে এখন তাঁদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চলছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং প্রতিরোধের অংশ হওয়া আজ জাতীয় কর্তব্য।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ৬৯৫ জনে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন—এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিপূর্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হওয়া সমঝোতা থেকে সরে গিয়ে ইসরায়েল আবারও নতুন করে আক্রমণ শুরু করে, যা ২০তম দিনের মতো চলছে।
ফিলিস্তিনিদের ডাকা এই হরতাল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি তাই শুধু গাজার জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের প্রতি একটি নৈতিক আহ্বান হয়ে উঠেছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ