শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর গাজায় নিহত কমপক্ষে ৩২২ শিশু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে নিহত হয়েছে ৩ শতাধিক শিশু। এমন তথ্যই দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ইউনিসেফ গত সোমবার জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গত ১০ দিনে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত এবং আরও ৬০৯ জন আহত হয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি গাজার শিশুদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং পুনরুদ্ধারের পথের আশা প্রদান করেছিল।”

তিনি বলেন, “কিন্তু শিশুরা আবারও মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রেই নিমজ্জিত হয়েছে। শিশুদের সুরক্ষার জন্য সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।”

ইউনিসেফের মতে, গাজায় নিহত শিশুদের বেশিরভাগই ছিল বাস্তুচ্যুত। তারা হয় অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, গত ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল-নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় নিহত ও আহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।

এছাড়া গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলার পুনরায় শুরু হওয়া এবং সাহায্য সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধের ফলে গাজার বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে সেখানকার ১০ লাখ শিশু গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যু সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংস্থাটি বলেছে, “গত ২ মার্চ থেকে গাজা উপত্যকায় কোনও সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ।”

আর তাই গাজায় হামলা বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি পুনঃস্থাপন এবং গাজায় মানবিক ও বাণিজ্যিক পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, বিশ্বের চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয় এবং শিশুদের হত্যা ও দুর্ভোগ অব্যাহত রাখতে দেওয়াও উচিত নয়। একইসঙ্গে প্রভাবশালী দেশগুলোকে ভয়াবহ এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছে ইউনিসেফ।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ