বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

‘এখন রেলে কী হচ্ছে, তা তো জানি না’। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বললেন, ‘কেন ম্যানুয়াল? এখনসবকিছু টেকনিক্যাল, আর আধুনিক। আগে কোনো সিস্টেমই ছিল না, এখন সব সিস্টেম আছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। আমি কি পরিস্থিতি জানি না’।

সোমবার শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন। মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, একটি বগি লাইন থেকে আকাশের দিকে উঠে গেছে। অন্যটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ যাত্রী।

এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মোটামুটি যারা এখানে আছে, যেটা দেখলাম একটি কেস ছাড়া বাদবাকি স্থিতিশীল আছে। সবাইকে ঠিকমতো চিকিৎসা করা, যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা সবটাই আমরা করছি। সকালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস দিয়ে আমরা পাঠিয়েছে। শিয়ালদহ থেকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবে। কলকাতা পৌরসভা মেয়রকে থাকতে বলা হয়েছে।

একসময়ে তিনি নিজে রেলমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন দুই-তিনটে ঘটনা দেখেছিলাম। তার আগে গাইসাল দুর্ঘটনাও দেখেছিলাম। আমি নিজে মুম্বাইয়ে কঙ্কন রেলওয়ের কাজে গিয়ে, অ্যান্টি কোলিশন ডিভাইস তৈরি করি এবং চালু করি। সংঘর্ষ আটকে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রেলে কী হচ্ছে,তা তো জানি না।

এদিকে মোদির আমলে দেশে চালু হয়েছে বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক ট্রেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু বন্দে ভারতের নামের প্রচার করছে। দুরন্ত কোথায় গেল? রাজধানীর পর দুরন্ত সবচেয়ে দ্রুত গতির ট্রেন ছিল। ভোটের সময়ে চারটে বন্দে ভারত! এভাবে হয় না! যাত্রীরা তো এখন পরিষেবাও পায় না, কিছুই হয়নি।

সূত্র : জি২৪ ঘণ্টা

বিনু/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ