শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


৯০ জনকে হত্যার পর শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

তিন দিন ধরে গাজার গুরুত্বপূর্ণ আল-শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৯০ জনকে হত্যা করেছে তারা। এছাড়া হাসপাতালে আসা প্রায় ৩০০ রোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

পরে ১৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ইসরায়েল তাদের হামাসের সদস্য বলে আখ্যা দিয়েছে।

নেতানিয়াহুর বাহিনী এবার হাসপাতাল খালি করার নিদের্শ দিয়েছে। গত নভেম্বরেও একইভাবে এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছিল আইডিএফ। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ফিলিস্তিন-সংকট সমাধানে আবার মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন।

হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ-
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিন ধরে আল-শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। সরাসরি অভিযানের পাশাপাশি তারা বিমান থেকেও হামলা চালিয়েছে। এতে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ সার্জিক্যাল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি বোমায় বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকেই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। বেশির ভাগই আহত হয়ে চিকিত্সা নিচ্ছেন। কিন্তু সেখানেই অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল সকালে আকস্মিকভাবেই ইসরায়েল হাসপাতালে অবস্থানরতদের চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। লাউড স্পিকারে বলা হয়, ‘আপনাদের বারবার সতর্ক করছি যে, আপনারা হাসপাতাল ত্যাগ করুন। আমরা সেখানে বোমা হামলা চালাব। আপনারা ভুল করবেন না।’ 

সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়, ‘আপনারা যদি সেনাবাহিনীর নির্দেশনা মেনে ভবন ত্যাগ না করেন, তাহলে গুলি করা হবে।’ এর আগে তিন দিনের অভিযানে ৯০ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধের আগে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ছিল আল-শিফা। গাজার উত্তরের এই হাসপাতালে বাস্তুচ্যুত মানুষেরাও আশ্রয় নিয়েছে।

তবে ইসরায়েল বলছে, হামাসের বন্দুকধারীরা এই হাসপাতালের বেসামরিক লোকদের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। মূলত হামাসকে নির্মূল করতেই তারা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। সোমবার ভোরে আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর আগে গত নভেম্বরে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেই সময় তারা দাবি করেছিল যে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে হামাস নেতা ও যোদ্ধারা যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করছে।—আলজাজিরা ও বিবিসি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর