ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ আজ ১২ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে বলেছেন, আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা তত্ত্বীয়ভাবে সুন্দর। বাংলাদেশের অধিকাংশ আইন-বিধিই তত্ত্বীয় দৃষ্টিতে ভালো। কিন্তু সমস্যা হয় এর প্রয়োগ নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা আইন প্রয়োগ করে তারা হয় দলান্ধ।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দলান্ধ ব্যক্তি নিয়োগের পথ বন্ধ করার যে প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনে উঠেছিলো তাতে বিএনপি একমত হয় নাই। এর অর্থ হলো, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলান্ধ ব্যক্তিদের নিয়োগের পথ খোলা থাকছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, আরপিও সংশোধনীর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ বিধানই আগের আরপিওতে ছিলো। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ে বাদ দেয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, আরপিওতে যত সুন্দর বিধানই থাকুক না কেন নির্বাচনে জেতার পরে রাজনৈতিক সরকার কর্তৃক সেগুলোকে কাটছাট করে ভোট ডাকাতির পথ উন্মুক্ত করার প্রবনতা থাকে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই প্রবনতা দুর করার জন্য এবং সংসদকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবী জানিয়ে আসছে। পিআর হলে কোন দল ৪০% ভোট নিয়ে শতভাগ ক্ষমতার অধিকারী হবে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ইচ্ছেমত সংশোধন করতে পারবে না। দুঃখের সাথে বলতে হয় নিম্ন কক্ষে পিআর নিয়ে কোন প্রস্তাবনা সরকারের কোন তরফ থেকে দেয়া হচ্ছে না এমনকি জনমতের জোড়ালো দাবী থাকা সত্যেও এজেন্ডাভুক্তও করা হচ্ছে না। ফলে আরপিও সংশোধনসহ সকল সংস্কারই ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, আগামীকাল ১৩ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করবে। সেখানে আরপিও নিয়ে বিস্তারিত মতামত তুলে ধরা হবে।
সাপ্তাহিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ মুহাম্মদ নুরুন্নবী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এম হাছিবুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহিদুল ইসলাম।
এমএইচ/