জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি এবং ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর বিজয়নগরে এক সমাবেশের আয়োজন করে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা দেশে এক নিপীড়নমূলক শাসন চালিয়েছে। এই সময়ে সাধারণ মানুষ নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আল্লাহর কৃপায় গত বছর এই দিনে সেই ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটে।” তিনি এসময় জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের জন্য সুস্থতা কামনা করেন।
ড. কাদের সরকারকে আহ্বান জানান, অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা ও তা সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। তিনি বলেন, “এই সনদের শুরুতেই ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ থাকতে হবে এবং ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালের সংগ্রামের উল্লেখ থাকতে হবে। এ সনদের আইনি স্বীকৃতি না দিলে তা হবে শহীদদের অবমাননা। এ অভ্যুত্থান জনগণের উদ্যোগে সংঘটিত — কোনো বিদেশি শক্তি বা ডিপ স্টেটের নয়।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এই পরিবর্তনের মূল স্টেকহোল্ডার ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষকে উপেক্ষা করবে, তারা ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবে। জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।”
ড. কাদের অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা চাই কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে সংস্কার ও জনকল্যাণমুখী একটি খেলাফতভিত্তিক সরকার গঠিত হোক।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, এডভোকেট মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম, ডা. আবদুর রাজ্জাক, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, হাজী নূর হোসেন, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ, হাফেজ নূরুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী, আলহাজ্ব আমীর আলী হাওলাদার, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, মহানগরী দক্ষিণের সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হুমাযুন কবির আজাদ, কাজী আরিফুর রহমান, মুন্সি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার শাহ শিহাব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মতিউর রহমান, এবং যুদ্ধাহত ছাত্র মজলিস সদস্য মুশফিকুস সালেহীন।
সমাবেশে “দাবানল শিল্পীগোষ্ঠী” জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে সঙ্গীত পরিবেশন করে।
এসএকে/