রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের

বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন: ইসলামী আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ আজ সোমবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ বেশির ভাগই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। 

ইতোমধ্যে আবেদনপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। আমরা একান্তই আশা করবো, নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষ, মেধাবী, দল নিরপেক্ষ এবং সাহসী বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের বিচার বিভাগ এক অনন্য মাত্রায় উন্নীত হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। তথ্যের অবাধ ও স্থায়ী প্রবাহ সকলের কর্মকাণ্ড ও অতীতকে মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে রাখে। ফলে বিচারক হিসেবে যারা নিয়োগ পাবেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং তাদের যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া, যারা নিয়োগ পেলেন আর যারা নিয়োগ পেলেন না তাদের যোগ্যতার মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা হবে। আমরা আশা করি, তখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মতো একটা সুন্দর পদ্ধতি বিতর্কিত হবে না। অতএব, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সাথে নিতে হবে। বিতর্ক হতে পারে এমন সকল কিছু এড়িয়ে যেতে হবে। 

অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, আমরা অতীতের কারণে শঙ্কিত। অতীতে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিয়মানুযায়ী আবেদনপত্র চাওয়া হয় ঠিকই কিন্তু তার আগেই শর্টলিস্ট করে রাখা হয়। আবেদনপত্র চাওয়া, পরীক্ষা-সাক্ষাৎকার নেওয়া সবকিছুই হয় লোক দেখানো। এই ধরনের ছলচাতুরি করেই আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশা করে, নতুন সম্ভাবনার এই মাহেন্দ্রক্ষণে হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে এমন কোনো ছলচাতুরি হবে না। আমরা নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই বলেই আমরা পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি সতর্ক নজর রাখবো। আমরা নিয়োগ শেষে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিতে চাই। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদের ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগ করে দিন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ