অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমদের আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা ভুলে অন্তর ও মন বড় করুন। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করলে বাংলাদেশে ইসলামি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের সম্ভাবনা পিছিয়ে যাবে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ.) কক্সবাজার ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘আরবি ভাষা ও ইসলামী সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
উপদেষ্টা জানান, কক্সবাজারে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষার পাশাপাশি ৭১টি মন্দিরে শিশু শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কক্সবাজার জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ.) মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কুরআন হাদিসের আলোকে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আলেম-উলামাদের পৃথিবীকে জানার চেষ্টা করতে হবে। বাংলা, আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, মানব সেবার জন্য অর্থ বড় বিষয় নয়, প্রকৃত মানব সেবার জন্য মানসিকতার প্রয়োজন রয়েছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, শুধু নীতিবাক্য দিয়ে সমাজ ও দেশ বদলানো যাবে না। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের দুর্যোগে ছুটে যেতে হবে। দেশ ও সমাজকে বদলাতে গেলে উম্মাহর জন্য উপকারী শত সহস্র কাজ করতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন, আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গবেষক ড. যায়েদ বিন মুহাম্মদ, সৌদি প্রশিক্ষক ড. বরিক বিন মুহাম্মদ, ড. সাউদ বিন আবদুল আজিজ, ড. মনছুর বিন আবদুল আজিজ।
অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদিস আবদুল গফুর নদিম। সমাপনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জামিয়াতুন নুর আল আলামিয়ার পরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযা।
ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ.) সার্বিক সহযোগিতায় জামিয়ার সপ্তাহ ব্যাপী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে আরবি ভাষা ও ইসলামি সংস্কৃতি কর্মশালা প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালিত হচ্ছে। গত রোববার বিকেলে সৌদি মেহমানরা কক্সবাজার জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ.) প্রাঙ্গণে পৌঁছলে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
সকালে ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার সার্কিট হাউজে সরকারি যাকাত ফান্ড থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমোদিত যাকাতের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কৃষ্ণানন্দধাম মন্দিরে ‘মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের’ ষষ্ঠ পর্যায়ের কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
এসএকে/