বাংলাদেশে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় চালু হতে যাচ্ছে। রোববার (২৯ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। তার সফরের সময় থেকেই এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। কয়েকজন উপদেষ্টা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন। পরবর্তী ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কাছে পাঠানো হবে।
আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুতই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হবে এবং এরপর ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস চালু হবে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য অফিসটি চালু করা হবে। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।
এ ধরনের অফিস চালু হলে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো জাতিসংঘ সরাসরি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করতে পারবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
বর্তমানে বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ ১৬টি দেশে জাতিসংঘের এ ধরনের মানবাধিকার অফিস রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এসব কার্যালয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারের জন্য কাজ করা। এর আওতায় মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সরকার, নাগরিক সমাজ, ভুক্তভোগী ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়।
এমএইচ/