রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
গুম-নির্যাতনে মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি চলছে শিক্ষা ভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করলো পুলিশ ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত তিন দাবিতে মোবাইল ব্যবসায়ীদের বিটিআরসি ভবন ঘেরাও আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না: মির্জা ফখরুল কওমি ডিগ্রিধারীদের বড় ‘সুসংবাদ’ দিলেন আইন উপদেষ্টা গুমের মামলা : ট্রাইব্যুনালে হাজির তিন সেনা কর্মকর্তা এদেশের মানুষ আলেমদের সম্মান করলেও ভোট দেয় না: ধর্ম উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর সম্মাননা পেলেন ইফতেখার জামিল ‘এবার আমরা সবাই মিলে ইসলামি শাসনব্যবস্থা দেখব ইনশাআল্লাহ’

ট্রান্সজেন্ডার আধুনিক যুগের বড় একটি ফিতনা: ধর্ম উপদেষ্টা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আমাদের মতো ভাই-বোন। তাদের জন্য আন্দোলন হয়, অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার আলাদা—একজন পুরুষ নিজের মনে ভাবেন তিনি নারী, কিংবা একজন নারী নিজেকে পুরুষ মনে করেন। অথচ আল্লাহ তাকে যে শারীরিক অবয়ব দিয়েছেন, তা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ ধরনের চিন্তাধারা আধুনিক যুগের বড় ফিতনা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্বগেট ইসলামি বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রফেসর ড. আহমদ আলীর লেখা ‘আধুনিক চিন্তাধারা ও মতবাদ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে অনেকেই এক মনে করেন, কিন্তু আসলে তা নয়। হিজড়ারা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, যাদের লিঙ্গগত সমস্যার কারণে ভিন্ন পরিচয় তৈরি হয়েছে। তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছেন, এটি প্রাকৃতিকভাবেই ঘটে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয়।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, অনেকেই এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানেন না। একজন পুরুষ দাড়ি-গোঁফ রাখলেও ইনজেকশন বা হরমোন পরিবর্তনের মাধ্যমে কণ্ঠস্বর বদলাতে পারে, নারীর মতো পোশাক-আশাক ও সাজসজ্জা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করা যায় না। তাই ট্রান্সজেন্ডারকে হিজড়া বলা সঠিক নয়।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় জ্ঞান অন্যতম চালিকাশক্তি। এই জ্ঞান অর্জন, বিকাশ ও প্রসারের অন্যতম মাধ্যম হলো গবেষণা। গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা। গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে লেখক অনুসন্ধানের ফলাফল, নিজের উপলব্ধি ও চিন্তাধারাকে প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে জ্ঞানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়, জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। তাই গবেষণালব্ধ গ্রন্থ নিছক কোন বই নয়; এটি এক অর্থে যুগের দর্পণ ও ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো অজানাকে জানা ও বিদ্যমান জ্ঞানের পরিধিকে সম্প্রসারণ করা। গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মাধ্যমে সেই নতুন জ্ঞানকে বৃহত্তর পাঠকসমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তাকে বিকশিত করতে পারে এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান । এতে অন্যান্যের মধ্যে বইটির রচয়িতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ আলী বক্তব্য দেন।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ