বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতে ড. ইউনূসকে অসুররূপে উপস্থাপন অশোভন: ধর্ম উপদেষ্টা . বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মিডিয়া সেলের বৈঠক  ড. ইউনুসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান  খুলনা-৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ইসলামি রাষ্ট্র দর্শনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী নেজামে ইসলাম পার্টির দাওয়াতি মাসের উদ্বোধন সিলেটে কওমি কনফারেন্স আগামীকাল আস-সুন্নাহর পুঁজিতে সেলুন ব্যবসায় সাবলম্বী হওয়া নওমুসলিম মুজাহিদের গল্প ইসলামী যুব আন্দোলনের দাওয়াতি মাস উদ্বোধন ফরিদাবাদ মাদরাসায় ২০১৯ ব্যাচের ছাত্রদের মিলনমেলা ৪ অক্টোবর

ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলাম বিদ্বেষী কবি হিসেবে পরিচিত কবি দাউদ হায়দার জার্মানির বার্লিন শহরে নির্বাসিত অবস্থায় মারা গেছেন গত শনিবার। ইসলামবিরোধী কবিতা লেখার কারণে তাকে প্রায় ৫০ বছর আগে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। পাঁচ দশকে দেশে ক্ষমতার নানা পালাবদল হয়েছে, কিন্তু কোনো সরকারই ইসলাম বিদ্বেষী লেখককে দেশে ফেরত আসার অনুমতি দেওয়ার দুঃসাহস দেখায়নি। 

সত্তরের দশকের শুরুর দিকে দাউদ হায়দার দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদে তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হয়। এই কবিতায় তিনি প্রচণ্ডভাবে ইসলাম এবং ইসলামের নবীকে কটূক্তি করেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা। শুরু হয় ব্যাপক আন্দোলন।   

এক পর্যায়ে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে আটক করে। পাঠানো হয় কারাগারে। তবে সেখানেও তিনি কয়েদিদের আক্রমণের শিকার হন। অবশেষে ২১ মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

অনেকটা খালি হাতেই তাকে দেশ ছাড়তে হয়। কবি দাউদ হায়দার লিখেছিলেন, সে সময় তার কাছে ছিল মাত্র ৬০ পয়সা, কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগে ছিল কবিতার বই, দুজোড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথব্রাশ। তার কোনো উপায় ছিল না। 

দেশ থেকে বহিষ্কারের পর দাউদ হায়দার ১৩ বছর কলকাতায় ছিলেন। পরে জার্মানির নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালের ২২ জুলাই জার্মানি চলে যান। তখন থেকেই তিনি জার্মানির বার্লিন শহরে বসবাস করে আসছিলেন। মাঝে মধ্যে কলকাতায় যেতেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দাউদ হায়দারই প্রথম লেখক, যাকে লেখালেখির কারণে নির্বাসনে যেতে হয়। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কবি দাউদ হায়দার নির্বাসনে ছিলেন। এই সময়ে তার আর মাতৃভূমিতে ফেরার সুযোগ হয়নি। দেশের কোনো সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরানোর কোনো উদ্যোগই নেয়নি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ