বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
সমকামী এক্টিভিস্ট কর্তৃক দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা  গাজা গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি: আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট গণঅভ্যুত্থানে অগ্রভাগে ছিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা: ধর্ম উপদেষ্টা আ.লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও ‘অভ্যুত্থান’ হবে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া ফ্যাসিবাদ সরানো যায় না: মাহমুদুর রহমান আওয়ার ইসলামের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার মা-বাবা ও উসতাদের সম্মানে দাঁড়ানো কি জায়েয? রাজধানীতে আবারও শক্তির জানান দিলো জামায়াত ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের সুখবর দিলেন সচিব জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোকেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াত নায়েবে আমির

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থেকে উপন্যাস লিখে পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি অবস্থায় উপন্যাস লিখে আরব বিশ্বের কথাসাহিত্যের সম্মানজনক পুরস্কার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর অ্যারাবিক ফিকশন-২০২৪ জিতেছেন ফিলিস্তিনি লেখক বাসেম খান্দাকজি। তিনি ‘এ মাস্ক, দ্য কালার অব দ্য স্কাই’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন।

বাসেম খান্দাকজি ২০০৪ সাল থেকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। চলতি বছর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর অ্যারাবিক ফিকশনের জন্য খান্দাকজিকে মনোনীত করেছে। তবে তিনি কারাগারে বন্দী থাকায় তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন রানা ইদ্রিস।

রানা ইদ্রিশ লেবাননের দার আল-আদাব প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশক। রানা বাসেমের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বাসেম খান্দাকজি তার উপন্যাসে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী-শিবিরে বসবাসকারী প্রত্নতাত্ত্বিক নূরের গল্প বলেছেন।

১৯৮৩ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের নাবলুসে জন্মগ্রহণ করেন খান্দাকজি। ২১ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তাকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি করা হয়। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন এবং ‘ইসরায়েল স্টাডিজের’ ওপর একটি থিসিসও করেছেন। এ ছাড়া কয়েকটি কবিতা সংকলন ও উপন্যাস প্রকাশ করেছেন।

খান্দাকজি ২০২১ সালে এই বইটি লেখা শুরু করেন এবং সে বছরই শেষ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে খান্দাকজির ভাই জানান, তাঁর পরিবার চার মাস ধরে খান্দাকজির সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী অনেক ফিলিস্তিনি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

খান্দাকজির ভাই আরও জানান, উপন্যাসটি লেখা শুরু করার পর তিনি প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে প্রায় দুই পৃষ্ঠা লিখতেন। তবে প্রায়ই তাঁর লেখার কাগজপত্রগুলো তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিত গার্ডরা এবং সেগুলো তারা ধ্বংস করে ফেলত।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ