বর্তমান সময়ে নতুন স্মার্টফোনের দাম আকাশছোঁয়া। অনেকেই তাই বিকল্প হিসেবে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন মোবাইল কেনার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সাবধান! একটু অসতর্ক হলেই ঠকে যেতে পারেন বড়সড়ভাবে। কাজেই পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কিছু বিষয় ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
১. ফোনটি চুরি হওয়া কি না যাচাই করুন
যে মোবাইলটি কিনছেন তা চুরি হওয়া কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য IMEI নম্বর যাচাই করুন। ফোনের ডায়াল প্যাডে *#06# চাপলেই IMEI নম্বর চলে আসবে। এই নম্বরটি https://www.imei.info ওয়েবসাইটে গিয়ে বসিয়ে ফোনটির বৈধতা যাচাই করতে পারেন।
২. অফিসিয়াল না আনঅফিশিয়াল সেট?
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক মোবাইল আনঅফিশিয়ালভাবে আমদানি হয়ে থাকে। এমন ফোনে অনেক সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয়, আবার ওয়ারেন্টিও থাকে না। তাই অফিসিয়াল ফোন কিনতেই চেষ্টা করুন।
৩. বিল ও বক্স আছে কি না
পুরাতন হলেও মোবাইলটির সাথে মূল বিল, বক্স ও ওয়ারেন্টি কার্ড থাকলে ভালো। এতে করে ফোনটির আসল মালিক কে এবং কবে কেনা হয়েছে তা বুঝতে সুবিধা হয়।
৪. স্ক্র্যাচ, ডিসপ্লে ও বডি চেক করুন
মোবাইল হাতে নিয়েই পুরো স্ক্রিন, বডি ও পেছনের অংশ ভালো করে দেখে নিন। স্ক্র্যাচ, ডেন্ট বা ফাটল থাকলে দাম কম দাবি করতে পারেন, আর সমস্যা বেশি হলে না নেওয়াই ভালো।
৫. ব্যাটারি কন্ডিশন যাচাই করুন
পুরাতন ফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ব্যাটারি নিয়ে। ফোন চার্জ নিয়ে বেশি গরম হয় কি না, চার্জ ধরে রাখতে পারছে কি না — এসব একবার চেক করে নিন। চাইলে ব্যাটারি হেলথ অ্যাপ দিয়েও চেক করা যায়।
৬. হার্ডওয়্যার ও সেন্সর ঠিক আছে কি না
ক্যামেরা, সাউন্ড, মাইক্রোফোন, স্পিকার, হেডফোন জ্যাক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক— সব কাজ করছে কি না যাচাই করুন। দ্রুত পরীক্ষা করতে চাইলে বিশেষ হার্ডওয়্যার টেস্টিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ফোন রিসেট করে নিতে বলুন
ফোনটি আগে কে ব্যবহার করতেন, তিনি কোনো স্পাই অ্যাপ বা ভাইরাস রেখে গেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করে নেওয়া উচিত।
৮. ন্যায্য দাম যাচাই করুন
ফোনটির বাজারদর যাচাই করে নিন। ফোনটি কত দিনের, কতটুকু ব্যবহার হয়েছে— এসব বিবেচনায় দাম নির্ধারণ করুন। অনলাইনের দাম বা বিক্রির প্ল্যাটফর্মে একবার খোঁজ নেওয়া ভালো।
এনএইচ/