বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতে ড. ইউনূসকে অসুররূপে উপস্থাপন অশোভন: ধর্ম উপদেষ্টা . বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মিডিয়া সেলের বৈঠক  ড. ইউনুসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান  খুলনা-৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ইসলামি রাষ্ট্র দর্শনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী নেজামে ইসলাম পার্টির দাওয়াতি মাসের উদ্বোধন সিলেটে কওমি কনফারেন্স আগামীকাল আস-সুন্নাহর পুঁজিতে সেলুন ব্যবসায় সাবলম্বী হওয়া নওমুসলিম মুজাহিদের গল্প ইসলামী যুব আন্দোলনের দাওয়াতি মাস উদ্বোধন ফরিদাবাদ মাদরাসায় ২০১৯ ব্যাচের ছাত্রদের মিলনমেলা ৪ অক্টোবর

পেয়ারা — স্বাস্থ্যসচেতনতার সবুজ রত্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান

পেয়ারা, আমাদের অতি পরিচিত একটি দেশীয় ফল, যা তার স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও সহজলভ্যতার কারণে সর্বজনপ্রিয়। গ্রামের গাছতলা থেকে শুরু করে শহরের ফলের দোকান—সবখানেই এই সবুজ রত্নটির দেখা মেলে। পেয়ারা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি স্বাস্থ্যরক্ষায়ও অনন্য ভূমিকা রাখে।

পেয়ারার ইংরেজি নাম Guava। এটি মূলত মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল হলেও এখন বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই চাষ হচ্ছে। আমাদের দেশে বরিশাল, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদী অঞ্চলে এর বাণিজ্যিক চাষ হয়।বাংলাদেশে দেশি পেয়ারার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নত জাতও এখন চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে "কাশবন", "চাইনা থ্রি", "কুঠি পেয়ারা", "হানি পেয়ারা", এবং "থাই আপেল পেয়ারা" উল্লেখযোগ্য। থাই পেয়ারা স্বাদে মিষ্টি, আকারে বড় এবং সহজে নষ্ট হয় না, তাই এটি বাণিজ্যিকভাবে বেশ লাভজনক।

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, যা রোগপ্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড। নিয়মিত পেয়ারা খেলে হজমশক্তি বাড়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও পেয়ারা কার্যকর।

৫. ভেষজ গুণ:  

- ডায়রিয়া ও আমাশয়ে পেয়ারার পাতার রস ব্যবহার করা হয়।  

- দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির সমস্যা উপশমে পেয়ারার পাতার ক্বাথ কার্যকর।  

- ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি খুবই কম।

পেয়ারা কাঁচা কিংবা পাকা—দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। অনেকেই লবণ-মরিচ মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। পেয়ারার জেলি, জ্যাম, জুসও বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে দেশি জাতের পাশাপাশি থাই ও অন্যান্য জাতের পেয়ারাও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

পেয়ারার বৈচিত্র্য ও মান বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের পেয়ারা এখন আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানিযোগ্য ফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে থাই জাতের পেয়ারার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, পেয়ারা শুধু একটি ফল নয় এটি আমাদের স্বাস্থ্যবান জীবনের জন্য একটি প্রাকৃতিক উপহার। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন, সুস্থ থাকুন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ