মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

সহকর্মীকে বন্ধু ভেবে যে কথাগুলো বলবেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাজমুল হাসান।। কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে বন্ধুর মতো কাছের মনে হতে পারে। একসঙ্গে কাজ করা, চাপ ভাগাভাগি করা, অফিস পলিটিক্সে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো—এসবই সহকর্মীদের মাঝে বন্ধুত্বের অনুভূতি তৈরি করে। কিন্তু এটাও মনে রাখা জরুরি—সহকর্মী মানেই বন্ধু নয়। আর তাই সব কথা সবার সঙ্গে ভাগ করা উচিত নয়।

চাকরির পরিবেশে কিছু কিছু কথা আছে, যা ভুল করেও সহকর্মীকে বলা উচিত নয়—even যদি তিনি আপনার ঘনিষ্ঠ বলে মনে হন। নিচে তেমন কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. “আমার বেতন কত জানো?” অথবা “তুমি কত পাও?”

বেতন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা অফিসে বিভ্রান্তি ও হিংসার জন্ম দিতে পারে। এতে সহকর্মীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে পারে, এমনকি ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টিতে আপনি পেশাদারিত্ব হারাতেও পারেন।

২. “বস তো একদম বোকার হাড্ডি!”

সহকর্মী যত ঘনিষ্ঠই হোক, বস বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো ভুল ব্যক্তির কানে গেলে চাকরি খোয়ানোর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।

৩. “এই কাজ আমার মোটেও ভালো লাগছে না।”

পেশাগত বিরক্তি প্রকাশ করলে আপনার উদ্যমহীনতা প্রকাশ পায়। সহকর্মীকে আপনি বন্ধু ভাবলেও, তিনি ভবিষ্যতে আপনার এই বক্তব্য অন্যভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

৪. “আমার ব্যক্তিগত জীবনে ঝামেলা চলছে।”

অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে ভাবুন—এটা কি প্রাসঙ্গিক? সব সহকর্মী আপনার দুঃখে সহানুভূতি দেখাবে না। কেউ কেউ সুযোগ নিতে পারে, আবার কেউ নাক গলাতে পারে।

৫. “এই প্রমোশনটা আমি বেশি ডিজার্ভ করতাম।”

প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট কিংবা স্বীকৃতি নিয়ে খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ আপনার প্রতি সহকর্মীদের সম্মান কমিয়ে দিতে পারে। এতে হিংসা, অসন্তোষ ও বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়।

৬. “আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে চাকরি ছেড়ে দেয়া।”

ভবিষ্যতের গোপন পরিকল্পনা সবাইকে বলবেন না। এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে অফিসে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে এবং আপনার ওপর বিশ্বাসও নষ্ট হতে পারে।

৭. “এই কাজ তো অমুকের ওপর ছিল, কেন আমাকে দেওয়া হলো?”

এই ধরনের অভিযোগ বা অসন্তোষ কর্মপরিবেশকে বিষিয়ে তোলে। সহকর্মী মনে করতে পারেন আপনি দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী—এটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে।

৮. “তুমি তো অফিসে অনেক দেরি করো!” বা “তুমি তো বসের অনেক প্রিয়!”

ব্যক্তিগত মন্তব্য বা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা সম্পর্ক খারাপ করতে পারে। তা যত মজা করে বলা হোক না কেন, ভুলভাবে ধরা পড়লে সমস্যা তৈরি হবেই।

অফিস একটি পেশাদার পরিবেশ—বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু বন্ধুবান্ধবের মতো খোলামেলা হওয়া সব সময় ঠিক নয়।

সতর্ক থাকুন, পেশাগত দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ, একদিন যে সহকর্মীকে আপনি বন্ধু ভাবেন, তিনিই হতে পারেন আপনার মূল্যায়নের অংশবিশেষ। কথা বলার আগে ভাবুন—এই কথাটা প্রয়োজনীয় কি না, প্রাসঙ্গিক কি না, ভবিষ্যতে বিপদে ফেলতে পারে কি না।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ