পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষঙ্গ হলেও, এটি এক বিশাল সামাজিক উৎসবও বটে। এই উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ পশু কোরবানি। তবে কোরবানির সময় ধারালো ছুরি, দা কিংবা কাঁচি ব্যবহারে সামান্য অসতর্কতা ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রামের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য বলছে, ঈদের দিনগুলোতে কোরবানির সরঞ্জামের আঘাতে আহত রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়। হাত, আঙুল কিংবা কাঁধে কাটা পড়া এসব ঘটনায় অনেকে গুরুতর জখম হন, যা সময়মতো চিকিৎসা না পেলে মারাত্মক সংক্রমণ বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কীভাবে বাড়ানো যায় কোরবানির নিরাপত্তা?
১. ছুরি ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা:
ছুরি বা দা ব্যবহারে অতিরিক্ত তাড়াহুড়োর বদলে মনোযোগ ও স্থিরতা জরুরি। অনভিজ্ঞ হাতে দ্রুত কাজ করতে গিয়ে বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
২. কাজের উপযোগী স্থান নির্বাচন:
জবাই ও মাংস কাটার জন্য এমন স্থান বেছে নিন, যেখানে যথেষ্ট আলো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকবে। একা না করে একজন সহকারী রাখলে আরও নিরাপদ।
৩. শিশু ও অনভিজ্ঞদের দূরে রাখা:
অনেক সময় শিশু বা কৌতূহলী ব্যক্তি কাছে চলে এলে বিপদ ঘটে। তাই কোরবানির সময় তাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখা প্রয়োজন।
৪. পেশাদার কসাইয়ের সাহায্য নিন:
অভিজ্ঞ কসাই ছাড়া কোরবানি করানো ঝুঁকিপূর্ণ। অদক্ষ ব্যক্তি ছুরি ধরলে কোরবানির পাশাপাশি নিজেরাও বিপদে পড়তে পারেন।
৫. দুর্ঘটনায় দ্রুত চিকিৎসা নিন:
যদি কাটা পড়ে বা রক্তপাত হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘরোয়া চিকিৎসায় সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়।
এই ধর্মীয় উৎসব যাতে আনন্দে ভরে ওঠে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় তা ম্লান না হয়, সেজন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসচেতনরা সবাইকে সতর্কতার সাথে কোরবানি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন। সামান্য অসাবধানতা হয়ে উঠতে পারে দুঃখজনক ঘটনা—সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
এনএইচ/