বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ।। ৪ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২২ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী-পুরুষের সমান নির্বাচনী সুযোগের পক্ষে জমিয়ত, সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজন নেই ইরান-ইসরায়েল সংঘাত সমাধানে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া ধেয়ে আসছে ইরানি মিসাইলের বহর, জানাল ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানালেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ শি জিনপিংয়ের ইরান: আমাদের ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল প্রতিহত করতে পারেনি ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে যৌথসভা ট্রাম্প: আমি ইরানের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ চাই ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সংসদে নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন অপ্রাসঙ্গিকভাবে চাপাচাপি করছে’

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর: মুসলিমদের উদ্বেগ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

শোয়াইব আস-সফাদী :  ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ধর্মীয় আইনের স্থলে একক দেওয়ানি বিধান চালু করা হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, এই আইন সমাজে "সমতা" আনবে এবং “কুপ্রথা দূর করবে”। তবে মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে এটি তীব্র অস্বস্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আইনটি বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অভিন্ন বিধান নিশ্চিত করতে প্রণীত হয়েছে। আইনের সমর্থকরা বলছেন, এটি মুসলিম নারীদের বহুবিবাহ থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের জন্য সমান সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি হিন্দু পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতি চ্যালেঞ্জ করে না এবং মুসলিম ব্যক্তিগত আইনকে অসমভাবে প্রভাবিত করছে।

মুসলিম নেতারা এই আইনের সমালোচনা করে একে "হিন্দু কোড" আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত। জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ ও অন্যান্য সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসমা জেহরা বলেছেন, "এই আইন ইসলামোফোবিয়ার একটি প্রকাশ এবং আমাদের ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর আক্রমণ।"

আইনটি লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। এর লঙ্ঘনকারীদের তিন মাসের জেল বা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী গীতা লুথরা বলেছেন, "এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী।"
গোয়া বাদে উত্তরাখণ্ড হলো ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর হয়েছে। এই উদ্যোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলেও, এর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
সূত্র: আলজাজিরা

হুআ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ