বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন: হেফাজত ‘মুফতি আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের অংশ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ: ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নিহত ৪ জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কাল গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রেজওয়ানা হাসান গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা, সারা দেশে যুবশক্তির ‘বাংলা ব্লকেড’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ধামরাই থানা কমিটি পুনর্গঠন

তথ্য ফাঁসের জেরে যুক্তরাজ্যের গোপন পুনর্বাসন পরিকল্পনায় আশ্রয় পেলেন হাজারো আফগান


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থী হাজারো আফগান নাগরিকের তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হয়ে যায়। এতে নিরাপত্তা ও মানবিক ঝুঁকিতে পড়েন আবেদনকারীরা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার আগেই ব্রিটিশ সরকার এক গোপন পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যার আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৫০০ আফগান যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পেয়েছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘আফগান রিলোকেশন অ্যান্ড অ্যাসিসটেন্স পলিসি (আরএআরএপি)’র আওতায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার আবেদনকারীদের একটি সংবেদনশীল ডেটাবেইস ফাঁস হয়ে যায়। এতে প্রায় ১৯ হাজার আবেদনকারীর নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ও পারিবারিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সরকার প্রথম ফাঁসের ঘটনা জানতে পারে ২০২৩ সালের আগস্টে, যখন তথ্যের কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরতে থাকে। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের একটি গোপন কর্মসূচি চালু করা হয়, যার অস্তিত্বও 'সুপার ইনজাংশন' আদেশের মাধ্যমে গোপন রাখা হয়।

সম্প্রতি হাই কোর্টের বিচারক জাস্টিস চেম্বারলেইন এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে দিলে বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। বিচারকের ভাষায়, “এই গোপনীয়তা গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার পরিপন্থী এবং এক ধরনের নজরদারিহীনতা তৈরি করেছে।”

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বিষয়টিকে “গুরুতর প্রশাসনিক ব্যর্থতা” আখ্যা দিয়ে সংসদে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, একটি সংবেদনশীল স্প্রেডশিট ভুলবশত নিরাপদ চ্যানেল ছাড়া অন্যত্র ইমেইল করা হয়েছিল। এতে সামরিক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী এমনকি সাবেক সংসদ সদস্যদের নামও ছিল।

যদিও ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন পুলিশ এই ডেটা ফাঁস নিয়ে কোনো ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেনি, তবুও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ইমেইলে সতর্কতা পাঠানো হয় এবং অজানা প্রেরকের বার্তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের ছায়া প্রতিরক্ষা সচিব জেমস কার্টলিজ বলেছেন, “এটি একটি অগ্রহণযোগ্য ডেটা নিরাপত্তা লঙ্ঘন।”

আইন সহায়তা সংস্থা লি ডে-এর আইনজীবী এরিন অ্যালকক ঘটনাটিকে “ভয়াবহ ব্যর্থতা” হিসেবে বর্ণনা করেন। ইতোমধ্যে সরকার আরেকটি পৃথক তথ্য ফাঁসের ঘটনায় আফগান নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আশ্রয়ের আশায় থাকা হাজারো আফগানের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ায় নিরাপত্তা শঙ্কা বাড়ে। ব্রিটিশ সরকার এই বিপর্যয় গোপন রাখতে চাইলেও আদালতের হস্তক্ষেপে তা প্রকাশ্যে আসে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ