গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় নতুন করে কমপক্ষে ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন ছিলেন ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন এই সঙ্কটে গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না অসংখ্য পরিবার।
উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও অনেক। একই দিন দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের উত্তরে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে হামলায় প্রাণ হারান কমপক্ষে দুই নারী। আহত হন আরও ৩০ জন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, জিএইচএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৭৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় নতুন করে বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর মধ্যে জাবালিয়া অন্যতম, যেখানে সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, অনেকেই যানবাহনের অভাবে গাধার গাড়ি বা পায়ে হেঁটে এলাকা ত্যাগ করছেন। জ্বালানির সংকটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অসংখ্য পরিবার এখন দিকহারা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে পা বাড়াচ্ছে তারা।
এসএকে/