।।মুহাম্মাদ শোয়াইব।।
যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তাহলে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে—তা নিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের একাধিক গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তার তথ্যের ভিত্তিতে কিছু উপগহৃপ্ত পরিকল্পনার কথা জানায়।
সম্ভাব্য ইরানি পদক্ষেপসমূহ:
- মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা:
o ইরান এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে।
o হামলার প্রথম লক্ষ্য হতে পারে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি।
- হরমুজ প্রণালীতে জল-খনি স্থাপন:
o এটির লক্ষ্য হবে মার্কিন নৌবাহিনীর চলাচল আটকে দেওয়া ও উপসাগরীয় এলাকায় নৌ-যুদ্ধ সৃষ্টি করা।
- হুথিদের দিয়ে লোহিত সাগরে হামলা পুনরায় শুরু করানো:
o ইরান-সমর্থিত হুথিরা পুনরায় ইসরায়েলগামী ও পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালাতে পারে।
- ইরাকি ও সিরীয় মিলিশিয়াদের দিয়ে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত:
o ইরান ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
- কোনো পূর্ব প্রস্তুতির দরকার নেই:
o ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলো এমন স্থানে অবস্থিত, যেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ মার্কিন ঘাঁটিতে সরাসরি হামলা চালানো সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি:
– ৪০ হাজার মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে অবস্থান করছে।
– সব ঘাঁটি উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
– যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে প্রায় ৩০টি আকাশে জ্বালানি ভরার বিমান পাঠিয়েছে, যা যেকোনো সামরিক অভিযানে সহায়তা করতে পারে।
– এ ছাড়া B-2 বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনা (বিশেষত ফোর্দু) লক্ষ্য করে হামলার প্রস্তুতি রয়েছে।
– এমনকি ইসরায়েলি কমান্ডোদের জন্য মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
– নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথ হামলার ক্ষেত্রে ইরানের প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে।
– এই সংঘাত কেবল ইসরায়েল-ইরান সীমাবদ্ধ না থেকে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিস্তৃত এক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
– ফলস্বরূপ, আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহ, বাণিজ্য রুট এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা
এনএইচ/