মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
ওষুধ কেনা হয়েছে কিন্তু সেই ওষুধ ভুলভাল খেলে, ভুল সময়ে খেলে উপকারতো পাবেনই না, উপরন্তু অসুখ বেড়ে যাওয়া সহ জান নিয়েও টানাটানি হতে পারে। তাই ওষুধ ক্রয় এবং খাবার পরও কিছু দিকে বিশেষ লক্ষ রাখতে হয়।
এক. ওষুধ ব্যবহারের আগে ভালো করে ব্যবহারবিধি দেখে নিন। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা অনেক সময় সাধারণের বোধগম্য হয় না। তাই খাবার ওষুধ হলে কিভাবে খেতে বলা হয়েছে, মলম হলে কিভাবে লাগাতে হবে, ড্রপ হলে কিভাবে দিতে হবে প্রেসক্রিপশন দেখে ভালোভাবে বুঝে নিন। নিজে না বুঝলে দোকানদারের সাহায্য নিতে ভুলবেন না।
দুই. ওষুধটি যদি খাওয়ার জন্য হয় কখন খেতে হবে সেটা ভালোভাবে বুঝে নিন। খাওয়ার আগে না পরে, আগে হলে কতক্ষণ আগে পরে হলে কতক্ষণ পরে সেটাও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হয়।
তিন. ওষুধ যদি দিনে একবার খেতে বলা হয় তাহলে প্রতিদিন একই সময়ে একবারই খান। দুবার হলে ১২ ঘন্টা পর পর, ৩ বার হলে ৮ ঘন্টা পরপর, ৪ বার হলে ৬ ঘন্টা পরপর একই সময়ে খেলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন।
চার. ওষুধ খেতে আমরা প্রায়শই ভুলে যাই। তাই সবসময় সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হয়। একবার ভুলে গেলে পরের ডোজটা খেতে হয় সঠিক সময়েই।
পাঁচ. ডাক্তার যে কয়দিন ওষুধ খেতে বলেন সেই কয়দিনই খান। অনেক সময় আমরা অল্প কিছুদিন ওষুধ খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বন্ধ করে দিই। অসুখ কমে গেলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোর্স পুরা না করে ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়।
ছয়. যে ওষুধ যে মাত্রায় ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সেভাবেই করা উচিত। সেটা যেন কম বেশি না হয়। একটা হলে একটা, দুই ফোটা হলে দুই ফোটা, নিজে থেকে বুদ্ধি না খাটাই।
সাত. ওষুধ খাওয়ার পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বমি, অরুচি, মাথা ঘুরা বা অন্যকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে অনেক রোগী ঘাবড়ে গিয়ে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটা ঠিক নয়। প্রাথমিকভাবে কিছু উপসর্গ দেখা দিলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এমনটা কখনো করবেন না।
আট. ওষুধ খাওয়ার পর অসুখ কমার কোনো লক্ষণ নেই বরং বাড়ছে? দেখা দিচ্ছে জটিল কোনো উপসর্গ এ ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নয়. ওষুধ শুষ্কস্থানে রাখতে বলা হলে শুষ্কস্থানেই রাখুন। কিছু ওষুধ ফ্রিজে রাখতে বলা হয়, সেসব ওষুধ ফ্রিজেই রাখুন।
দশ. ওষুধ এবং কীটনাশক কখনো পাশাপাশি রাখবেন না। আর সব ধরনের ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
এসএকে/