শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

৭ মাসে কুরআনের হাফেজ ইতালি প্রবাসী বাবার দুই ছেলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাত্র সাত মাসের মধ্যে কুরআনের হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ইতালি প্রবাসী বাবার দুই ছেলে। বাংলাদেশের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তারা হাফেজ হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেছেন এবং পেয়েছেন পাগড়ি। বাবার স্বপ্ন, তাদের মিশরে পাঠিয়ে আলেম বানাবেন।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আলমদস্তার এলাকার জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত হাফেজ আব্দুর রহমান হাওলাদার (১৫) ও হাফেজ আব্দুর রহিম হাওলাদার (১৩) মাত্র সাত মাসে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজ শেষে মাদ্রাসার মসজিদে তাদের পাগড়ি পরিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মুফতি রেজাউল ইসলাম। এ সময় ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান স্থানীয় আলেম ও স্বজনরা।

আব্দুর রহমান ও আব্দুর রহিমের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামে। তারা প্রবাসী মামুন হাওলাদার ও তানিয়া হাওলাদার দম্পতির সন্তান। জন্মসূত্রে তারা ইতালির নাগরিক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুন হাওলাদার দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ইতালিতে কর্মরত। সেখানেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও ইসলামী শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের বাংলাদেশে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। অল্প সময়েই দুই ছেলে হাফেজ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

প্রবাসী বাবা মামুন হাওলাদার বলেন, “আমার দুই ছেলে জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হলেও আমি চাই, তারা বড় আলেম হোক। এজন্য দেশে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। আজ তারা হাফেজ হয়েছে, এতে আমি খুব খুশি। ইনশাআল্লাহ, আবার তাদের ইতালি নিয়ে যাবো এবং পরে মিশরে মাওলানা পড়তে পাঠাবো।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ