বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যাকারী ইসরায়েল: জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাবাহিনী জাতিসংঘের সমকামী দূত ও কার্যালয় স্থাপন বাতিলের দাবি খেলাফতের ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর অবমাননা একটি উসকানিমূলক ও ঘৃণিত কাজ জামেয়া ইসলামিয়া মুনশীবাজারে প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ১২ জুলাই মুহতামিম সম্মেলন সফল করতে মানিকছড়িতে মতবিনিময় সভা শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

শ্রীমঙ্গলে মোল্লাবাড়ি নুরানি মক্তবের পুরষ্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুস্তাকিম আল মুনতাজ, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মোল্লাবাড়ি নুরানি মক্তবের পুরষ্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে মক্তব প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বরুণা মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শাহ মনিরুজ্জামান (জসিম) তালুকদারের সভাপতিত্বে ও মক্তব পরিচালক মাওলানা তারেক জামিলের সঞ্চালনায়  প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেখবাড়ি জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জাফর আহমদ। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা শ্রীমঙ্গলের সহকারী পরিচালক মাওলানা ইবাদুর রহমান তালুকদার, আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মাওলানা মুস্তাকিম আল মুনতাজ তালুকদার, কাতার প্রবাসী ইকবাল হুসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেশ কিছুদিন আগেও প্রায় এলাকাতেই মসজিদভিত্তিক কুরআন শিক্ষার প্রভাতী মক্তব চলত। শিশুদের কুরআন শিক্ষা এবং ইসলাম সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞানার্জনের শিক্ষাকেন্দ্র ছিল সকালের এসব মক্তব। সেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত, প্রয়োজনীয় মাসয়ালা, দোয়া-দরুদ ও নামাজ-রোজার নিয়ম-কানুন শিখত। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য মক্তব শিক্ষা কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। এখন আর আগের মতো শিশুদের দলবেঁধে কুরআন শিক্ষার জন্য মসজিদের মক্তবে যেতে দেখা যায় না। আলিফ, বা, তা এর শব্দে মুখরিত হয় না গ্রামবাংলার জনপদ। এখন এসব ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে মক্তবগুলো বন্ধ কিংবা বন্ধের পথে। এর প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। এ কারণে এলাকার শিশু-কিশোররা কুরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, আবার কোথাও কোথাও নামমাত্র মক্তব চালু আছে। কিন্তু সেগুলোতেও আগের মতো জৌলুশ নেই। শিশুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের এখনকার ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হলেও শুদ্ধভাবে কুরআন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। কোনো কোনো অভিভাবক হয়তো বাসায় প্রাইভেট টিউটর রেখে কুরআন শেখাচ্ছেন, তাতে কেউ কেউ কুরআন এক খতম করে দায়িত্ব শেষ মনে করছে। কিন্তু প্রতিযোগিতাপূর্ণ অনুশীলন ও চর্চা না থাকার কারণে পরবর্তী জীবনে কুরআন পাঠ ভুলে যাচ্ছে। আর তাই, এসব মক্তব চালু রাখতে আমাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ