মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

গাইবান্ধায় বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকায় বালকের নাম!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তির লটারিতে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তালিকায় এক বালকের নাম এসেছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহল। এমন ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারির তালিকায়।

মঙ্গলবার ডিসেম্বর ভর্তি বিষয়ের লটারির শিটটি একাধিক ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে নজরে আসে এই প্রতিবেদকের।

গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের ভর্তি লটারির প্রথম ফলাফলের ওই  তালিকায় দেখা যায়, প্রভাতি শাখার নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার ৩০তম স্থানে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক বালকের নাম এসেছে। একই তালিকায় ওই বালকের বাবার নাম রেজাউল মিয়া ও মায়ের নাম রুবি বেগম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাধারণত বালিকা বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র মেয়েদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু বালিকা বিদ্যালয়ের লটারির ভর্তি তালিকায় একজন ছেলেরর নাম কিভাবে এলো তা নিয়ে জেলায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অস্বাভাবিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন ভর্তির তালিকা তৈরির সফটওয়্যার বা প্রক্রিয়ায় গলদ থাকতে পারে।

এছাড়া কারো আবেদন করতে গিয়ে ভুলবশত বালিকা বিদ্যালয়ের আবেদন করা হয়নি তো? এমন প্রশ্নও রাখছেন কেউ কেউ। কেউ আবার কোনো ভুলের কারণে ওই শিক্ষার্থীর সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আকাঙ্খা ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। তবে, দ্রুত এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটির সমাধানের দাবি জানিয়েছেন বেশিরভাগ সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে এই তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীর নামের বিপরীতে অভিভাবকের যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে  মন্তব্য জানতে চেয়ে ওই নম্বরে একাধিকবার কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে  গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, এটি কোনো কারিগরি ত্রুটি বা ভুলের কারণে হতে পারে এবং বিস্তারিত জানতে প্রধান শিক্ষক কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার কথাও জানান ওই শিক্ষক।

গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই। এটা আবেদনকারীর বিষয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পরবর্তীতে অপেক্ষামান তালিকা থেকে একজন বালিকাকে নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ২০২০-২১ সালের দিকে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আবেদনকারী আবেদন করার সময় বিদ্যালয় নির্বাচনে ভুল করেছিল।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ