বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যাকারী ইসরায়েল: জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাবাহিনী জাতিসংঘের সমকামী দূত ও কার্যালয় স্থাপন বাতিলের দাবি খেলাফতের ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর অবমাননা একটি উসকানিমূলক ও ঘৃণিত কাজ জামেয়া ইসলামিয়া মুনশীবাজারে প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ১২ জুলাই মুহতামিম সম্মেলন সফল করতে মানিকছড়িতে মতবিনিময় সভা শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

গাইবান্ধায় বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকায় বালকের নাম!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তির লটারিতে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তালিকায় এক বালকের নাম এসেছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহল। এমন ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারির তালিকায়।

মঙ্গলবার ডিসেম্বর ভর্তি বিষয়ের লটারির শিটটি একাধিক ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে নজরে আসে এই প্রতিবেদকের।

গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের ভর্তি লটারির প্রথম ফলাফলের ওই  তালিকায় দেখা যায়, প্রভাতি শাখার নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার ৩০তম স্থানে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক বালকের নাম এসেছে। একই তালিকায় ওই বালকের বাবার নাম রেজাউল মিয়া ও মায়ের নাম রুবি বেগম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাধারণত বালিকা বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র মেয়েদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু বালিকা বিদ্যালয়ের লটারির ভর্তি তালিকায় একজন ছেলেরর নাম কিভাবে এলো তা নিয়ে জেলায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অস্বাভাবিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন ভর্তির তালিকা তৈরির সফটওয়্যার বা প্রক্রিয়ায় গলদ থাকতে পারে।

এছাড়া কারো আবেদন করতে গিয়ে ভুলবশত বালিকা বিদ্যালয়ের আবেদন করা হয়নি তো? এমন প্রশ্নও রাখছেন কেউ কেউ। কেউ আবার কোনো ভুলের কারণে ওই শিক্ষার্থীর সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আকাঙ্খা ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। তবে, দ্রুত এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটির সমাধানের দাবি জানিয়েছেন বেশিরভাগ সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে এই তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীর নামের বিপরীতে অভিভাবকের যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে  মন্তব্য জানতে চেয়ে ওই নম্বরে একাধিকবার কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে  গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, এটি কোনো কারিগরি ত্রুটি বা ভুলের কারণে হতে পারে এবং বিস্তারিত জানতে প্রধান শিক্ষক কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার কথাও জানান ওই শিক্ষক।

গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই। এটা আবেদনকারীর বিষয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পরবর্তীতে অপেক্ষামান তালিকা থেকে একজন বালিকাকে নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ২০২০-২১ সালের দিকে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আবেদনকারী আবেদন করার সময় বিদ্যালয় নির্বাচনে ভুল করেছিল।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ