শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


আলিফ হত্যায় ৩১ জনের নামে মামলা করলেন তার বাবা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। এ ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন তার বাবা জামাল উদ্দিন। শনিবার নগরের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করা হয়।

আসামিরা হলেন— নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য।

এ ছাড়াও আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫শ’ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ মামলা দুটির বিষয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। সাইফুলের নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন অন্যরা। ঘটনাস্থলে আরও ২৫ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ