শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা ‘জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিলে কোনো নির্বাচন হবে না’ ‘ইসলামপন্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু অংশ নেননি, তারা এর চিন্তাও নির্মাণ করেছেন’ ‘কওমি তরুণরা নানা অহেতুক কাজে জীবন খোয়াচ্ছেন’ ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে: দুদু দুদক সংস্কারে আইন প্রণয়ন ১-২ মাসের মধ্যে: আসিফ নজরুল দেশের ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের এক দশক উদযাপন কাল, প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা ভাঙ্গা পৌর শাখায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি গঠন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে: খেলাফত মজলিস

কী ছিল হেফাজতের আলোচিত সেই ১৩ দফায়?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিনিধি

এক যুগ আগে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ১৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। সেই আন্দোলনের জেরেই ঘটেছিল ৫ মে’র শাপলা চত্বর ট্রাজেডি। পরের ঘটনা সবার জানা। অনেক উত্থান-পতন, চড়াই-উৎরায়ের মধ্য দিয়ে হেফাজত পার করেছে ১২টি বছর। 

অনেকের মনে কৌতূহল, হেফাজতের সেই ১৩ দফায় কী ছিল? আসুন জেনে নিই আলোচিত সেই ১৩টি দফা- 
দফা-১: সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে।
দফা-২: মহান আল্লাহ, রাসুল সা. ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।

দফা-৩: তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদসহ ইসলামবিদ্বেষীদের সকল অপতৎপরতা ও প্রচারণা বন্ধ করতে হবে এবং যে সকল নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি-সংগঠন যেকোনো মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূল সা:, ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করত দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

দফা-৪: দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারী জাতির সার্বিক উন্নতির বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে তাদের নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মস্থল, সম্মানজনক জীবিকা এবং কর্মজীবী নারীদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে-বাইরে ও কর্মস্থলে নারীদের ইজ্জত-আব্রু ও যৌন হয়রানি থেকে বেঁচে থাকার সহায়ক হিসেবে পোশাক ও বেশভূষায় শালীনতা প্রকাশ ও হিজাব পালনে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই লক্ষ্যে নারী-পুরুষের সকল প্রকার বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে অবাধ ও অশালীন মেলামেশা, নারী-নির্যাতন, যৌন হয়রানি, নারীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার সহিংসতা, যৌতুকপ্রথাসহ যাবতীয় নারী নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

দফা-৫: নারীনীতি ও শিক্ষানীতির ইসলামবিরোধী ধারা ও বিষয়সমূহ বিলুপ্ত করতে হবে এবং শিার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামের মৌলিক শিক্ষা মুসলিম ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।

দফা-৬: ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলনের নামে শিরিকি সংস্কৃতিসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

দফা-৭: রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে। 

দফা-৮: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।

দফা-৯: দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ঈমান ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও ও খ্রিষ্টান মিশনারিদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

দফা-১০: কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
দফা-১১: রাসুলপ্রেমী প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, মসজিদের ইমাম-খতিব ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

দফা-১২: অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, ইমাম-খতিব ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

দফা-১৩: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ