সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের রূপসায় হাতপাখার গণসংযোগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস ২০২৫: জীবন রক্ষায় সচেতনতার নতুন অঙ্গীকার মাওলানা ফজলুর রহমানের সিলেট আগমন উপলক্ষে ইস্তেকবাল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২টি প্রস্তাবনা অপরাধ কমাতে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা: ড. এম এ কাইয়ুম জমিয়তের সুধী সমাবেশ মঙ্গলবার, প্রধান অতিথি মাওলানা ফজলুর রহমান মারকাযু দিরাসাতিল ইকতিসাদিল ইসলামী পরিদর্শনে মুফতি তাকী উসমানীর সাহেবজাদা

খেদমত ছেড়ে কেন ব্যবসায় ঝুঁকছে তরুণ আলেমরা 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| হাসান আল মাহমুদ ||

মসজিদ ও মাদরাসা বাংলাদেশি আলেমদের দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থল। যদিও আলেমরা এ দুই প্রতিষ্ঠানে কর্ম করাকে পেশা হিসাবেই বিবেচনা করে না বরং দ্বীনি খেদমত বা সেবা হিসাবেই তারা এ দু প্রতিষ্ঠানকে আঁকড়ে ধরে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দ্বীনি এ খেদমত ছেড়ে তরুণ আলেমদের ব্যবসায় ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে বেশি পরিমানে। দিন দিন বাড়ছে এ প্রবণতা।

এর কারণ কী হতে পারে জানতে চাইলে তরুণ আলেম ব্যবসায়ী আল-রওদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওনার ও সিইও মাওলানা সালমান সাকী বলেন, ‘এটার একটা কারণ হতে পারে শিক্ষকদের বেতন ও প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অমনোযোগিতা। আপনি দেখবেন, মাদরাসার শিক্ষকদের অজিফা বা বেতন খুবই নিম্নমানের হওয়া। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে আমাদের কওমি মাদ্রাসায় যে অজিফা ধার্য করা হয় সেটা খুবই নগণ্য। আর বর্তমান যারা নতুন ফারেগ হচ্ছেন তারা নিজেরা কিছু করতে বেশি আগ্রহী। নিজেদের মতো করে উদ্যোগ গ্রহণ করে তারা উদ্যোক্তা হতে চায়।’ 

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে সামাজিকভাবে আমাদের এই সমাজে আলেমদেরকে নীচু দেখানোর একটা মানসিকতা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, ‘আলেমরা সমাজের বোঝা। মসজিদ-মাদরাসার বাইরে এদের কোন কর্মক্ষেত্র নেই।’ এই দিক বিবেচনা করে অনেকেই নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার উদ্যোগী হচ্ছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী বন্ধু বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের পরিচালক মুহাঃ শাহ্ ইফতিখার নাঈম বলেন, ‘সবারই একটা ইচ্ছে থাকে নিজের মতো করে কোনো কিছু করা। সেটা একমাত্র নিজের ব্যবসাতেই সম্ভব হয়। চাকরির পাশাপাশি অনেকে অনেক কিছু করতে চাইলেও প্রাতিষ্ঠানিক চাপের কারণে সেটা সম্ভব হয় না। তাই সবাই চায় নিজে কিছু করতে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসার চিন্তাভাবনা তরুণ আলেমদের খুব বেশিদিন আগেও ছিলো না। সবাই পড়ালেখা শেষ করেই চাকরির চিন্তা করতো। ব্যবসার চিন্তাভাবনা কারো ভেতরেই দেখা যেতো না। করোনাকালীন সময়ে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলো, তখন থেকেই সবার একটা চিন্তা এসেছে, ‘বসে না থেকে কী করা যায়?’ উদ্যোগ নিয়ে যখন কিছু আলেম ব্যবসা শুরু করেছেন, তখন থেকেই একে একে ব্যবসার পথে চলে এসেছে। এখনো সবাই এই পথেই এগুচ্ছে। তাছাড়া অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অনেকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে নিয়েছে। চাকরি বাদেও যেহেতু আলেমদের জন্য ইনকামের অন্যান্য পথ রয়েছে তাই সবাই যার যার সুবিধা মতো বিভিন্ন কাজের জন্য ছুটাছুটি করছে।’

তিনি বলেন, ‘সব কিছুর পর এটাও বলা যায়, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম হিসাব করলে অল্প বেতনে চাকরি করে নিজের চলা এবং সংসার চালানো অধিকাংশ আলেমদের জন্যই কষ্টকর হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তুলনামূলক বেতন কম হওয়ার কারণেই মূলত এখন আলেমরা চাকরি ছেড়ে ব্যবসার পথ ধরছে।’

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ