বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদরাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজির ওপর জোর দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা সংসদ ভাঙার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক, ১২০ দিনে নির্বাচন চায় জামায়াত মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোট লাগবে : আলী রীয়াজ মহিলা মাদরাসাগুলোকে বেফাকের অধীনে সুসংগঠিত করতে হবে: মুফতি আশরাফুজ্জামান কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়,  সংশোধনাগারও: ধর্ম উপদেষ্টা রাজনীতিতে শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে: পীর সাহেব চরমোনাই কোরআনে যেসব প্রাণীর নাম বর্ণিত হয়েছে যেসব সুযোগ-সুবিধা পান দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থীরা খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার মজলিসে শুরার অধিবেশন 

সৌদির যে খেজুর কারখানার সব কর্মীই নারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সৌদি আরবের একটি খেজুরের প্যাকেজিং কারখানার শুরু থেকে শেষ সবকিছুই পরিচালনা করেন নারীরা। কারখানাটিতে শতাধিক নারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্যাকেজিং থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীই নারী।

ইবনে জাইদ নামের কারখানায় ডেট প্যাকেজ পরিবহনের জন্য একটি ফর্কলিফট চালান আকিলাহ আলি। তিনি বলেন, 'প্রথমে কিছু অসুবিধা ছিল- ভারী পরিবহন ট্রাক চালানো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আমি খুশি যে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি নারীরা নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং সফল হতে পারে।'

ইবনে জাইদ কারখানা সৌদি আরবের আল-আহসায় অবস্থিত। এটি খেজুর উৎপাদন ও বিক্রি করে। স্থানীয় অনুমান অনুসারে, আল-আহসায় প্রায় ২০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। এর থেকে প্রতি বছর ১ লাখ টন খেজুর উৎপাদন হয়।

কারখানাটি পূর্বে বিদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত হতো। কিন্তু এর মালিক দেশটির শ্রমশক্তিতে নারীদের একীভূত করার নতুন দিকনির্দেশনা মেনে সৌদি নারীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

কারখানাটি এখন পুরোপুরি নারীরাই পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব নারীর উপস্থিতি বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার চালু করেছে। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ঘোষণা করেছিলেন যে, নারীরা গাড়ি চালাতে পারবে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনাও চালু করেছেন। এর লক্ষ্য সৌদির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা এবং নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

এরপর কয়েক ডজন মহিলাকে সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকত্ব আইনটি নির্মূল করা হয়েছে এবং নারীদের একা থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।

সূত্র: আল আরাবিয়্যাহ

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ