শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

আরবি কাব্যসাহিত্যে ইসলামের প্রভাব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলাম নিছক একটি ধর্মই নয়, বরং ইসলামের আবির্ভাব যুগপত্ভাবে একটি ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিপ্লব। এই বিপ্লবের প্রভাব পড়েছে সমকালীন সাহিত্যেও। সুতরাং বিষয়গতভাবে জাহিলি সাহিত্যের সঙ্গে এর আমূল পার্থক্য সূচিত হয়।

জাহিলি কাব্যে যেখানে গোত্রীয় অহমিকা, বংশগৌরব, বেপরোয়া জীবন ও প্রতিশোধস্পৃহার বর্ণনা রয়েছে, সেখানে ইসলামী যুগের সাহিত্যে মহান আল্লাহ, তাওহিদ, রিসালাত ও জিহাদের প্রসঙ্গ স্থান করে নিয়েছে।

ইসলাম এসে গোত্রীয় আভিজাত্যের মূলে কুঠারাঘাত হেনে খোদাভীতিকেই মর্যাদার মানদণ্ড নিরূপণ করে। বিদায় হজের ভাষণে নবীজি সা. দ্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, পিতৃপুরুষ নিয়ে জাহিলি ধারার গৌরব ও অহংকার মহান আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তিরোহিত করেছেন। তোমরা সবাই আদম সন্তান। আর আদম মাটি থেকে সৃষ্ট। তাকওয়া ছাড়া আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।

ইসলামের আবির্ভাবে গোত্রীয় ও স্বাজাত্যবোধের চেতনা ধুলায় মিশে যায়। কুলজিবন্ধন ও গোত্রীয় ভ্রাতৃত্বের স্থলে ধর্মীয় বন্ধন ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। আর আদর্শিক এই পরিবর্তনের হাওয়া আবরদের চিন্তা ও মনন সাহিত্য মানসেও দোলা দেয়। ফলে এত দিন যে কবি বংশগৌরব ও নিন্দাকাব্য রচনায় মগ্ন ছিলেন, যে বাগ্মী স্বীয় রসনা দিয়ে শত্রুতা ও বিদ্বেষের আগুন ছড়াতেন এবং যে অশ্বারোহী বীর দিবারাত্রি রক্তের হোলিখেলা ও শৌর্যবীর্য প্রকাশে মত্ত ছিলেন তাঁরা সবাই ইসলামের দাওয়াতে নীরব ও স্থবির হয়ে পড়লেন। তাঁরা যেকোনো কথা ও কাজে আল্লাহর নির্দেশ ও রাসুল সা. -এর অনুমোদনের অপেক্ষায় প্রতীক্ষমাণ থাকতেন। ফলে এক পর্যায়ে সাহিত্যের পরিধি ও এর চর্চা অনেকটা সীমিত হয়ে আসে।

মক্কার অবিশ্বাসী কবিরা মুহাম্মদ (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিষোদগার করে কাব্য রচনা করেন।

পরবর্তী সময়ে ইসলামের বৈপ্লবিক জাগরণের ফলে মদিনায় আনসারদের একদল কবি তাঁদের কটূক্তির জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। ইসলামের মানমর্যাদা ও মাহাত্ম্য সমুন্নত রাখতে রাসুল সা. তাঁদের কাব্য রচনায় নানাভাবে উৎসাহিত করেন। এসব কবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাসসান ইবনে ছাবিত রা., কাব ইবনে মালিক রা., আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রা. প্রমুখ।

পরে খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগে মুসলমান কবিদের কাব্যে ইসলামের অনুশাসন, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ব্যাপকহারে দেদীপ্যমান হতে থাকে।

ইসলামের প্রারম্ভিক যুগের কাব্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো, (ক) কবিতায় ইসলামের মূলনীতিবিরোধী বিষয়বস্তু পরিহার। (খ) কবিতায় শরিয়ত লক্ষ্যমুখী বিষয়ের আমদানি। (গ) নবধর্ম ইসলামের বিজয়সূচক গাথা রচনা। (ঘ) কবিতায় পবিত্র কোরআনের শব্দগত, অর্থগত ও শৈলীগত প্রভাব। (ঙ) রাসুল (সা.)-এর প্রশংসা ও ইসলামের শত্রুদের নিন্দায় কাব্য রচনার সূচনা। সূত্র: ইকনা

-এসআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ