রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে বেফাকের একাত্মতায় পীর সাহেব মধুপুরের অভিনন্দন ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরগিরির দায়ে জাতিসংঘের সাত কর্মীকে বন্দি হুথির ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটি গঠিত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ইবনে শাইখুল হাদিস ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরার অধিবেশনে ৯ প্রস্তাব ক্ষমতায় গেলে বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করবে বেফাক নেতৃবৃন্দের আহ্বান ও একাত্মতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

স্ত্রী অবাধ্য হলে করণীয় সম্পর্কে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যে কোনো কারণে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কলহ এগুলো থাকেই। তবে ধৈর্য আর দোয়ার বিকল্প কিছুই নাই। শয়তানের সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হলো মানুষের মাঝে ফেতনা সৃষ্টি করা। এ কাজ থেকেই মানুষকে বিরত থাকতে হবে। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে এমনই একটি ঘটনা বর্ণনা করেন- হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর (সারা দুনিয়াব্যাপী) তার বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। আর (ওই শয়তান) সবচেয়ে বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত, যে (মানুষের মাঝে) সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। শয়তান সিংহাসনে বসে সবার ঘটানো ফেতনার বর্ণনা শোনে।

একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করনি। এভাবে শয়তান তার পাঠানো অন্যদের (শয়তানের) মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতপর একজন এসে বলে- 'আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। এ (ফেতনার) কথা শুনে শয়তান তাকে তার কাছাকাছি (বুকে) টেনে নেয়। আর বলে তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়।' (মুসলিম)

দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়ার ওয়েব সাইটে এক লোক ফতোয়া জানতে চেয়েছেন। প্রশ্ন: আমার শশুরের সাথে আমার কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। আমার শশুর তার মেয়েকে তিনবার তালাক দিতে বলেছিল। কিন্তু আমি দেইনি। আমি আমার স্ত্রীকে আমার বাসা নিয়ে আসতে চাইলাম। সে আমার কথা শোনেনি। আমি বারবার তাকে বললাম চল বাসায়। সে আমার সঙ্গে মেজাজ দেখালো। বলল আমার শরীর খারাপ। বারবার বলতে থাকলাম, তারপরও সে আসেনি। সেক্ষেত্রে মহিলাটি গুনাহগার হবে কি না। সে অতটা অসুস্থ ছিলো না যে সে সফর করতে পারবে না। সে পরদিনই সফর করেছে। সে সবার সামনে আমাকে অপমাণ করেছে। এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

উত্তর নং: ৬০৭৯৫৫। ফতোয়াঃ ২৮৬-১১৫টি/বি-মুলহাকা= ০৫/১৪৪৩

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফতোয়ার উত্তরে বলা হয়েছে। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণও হয়, তাদের অনেক কিছু উপেক্ষা করতে হয়। আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসে এ শিক্ষা দিয়েছেন। আপনার স্ত্রীকে এমন অবাধ্যতার সুযোগ না দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

সর্বদা আপনার শ্বশুরবাড়ির সাথে শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার সাথে আচরণ করা উচিত, এটি আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্ককে সুখী করবে ইনশাআল্লাহ। যাইহোক, আপনার স্ত্রীর সাথে একে অপরকে সম্মান করা উচিত। যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে বিবাহিত জীবনযাপন করা উচিত।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নারীদের প্রতি সদয় হও, কারণ তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের সবচেয়ে বাঁকা হাড় থেকে। এর অর্থ হল তাদের সাথে ভদ্রতার আচরণ করা, কুটিলতা আর বক্রতা ইত্যাদী থেকে তাদের রক্ষা করা।

সূত্র: দারুল উলুম দেওবন্দ।

-আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ